২৬ মৎস্যজীবীকে আটক শ্রীলঙ্কার নৌসেনার, বারবার সংঘাতেও চুপ বিদেশমন্ত্রক!

চূড়ান্ত আশঙ্কায় রামেশ্বমের মৎস্যজীবী পরিবারগুলি। এই বছরই এপর্যন্ত এলাকার ১৫০ মৎস্যজীবীকে আটক করেছে শ্রীলঙ্কা নৌসেনা

সাত দিনে দুবার। শ্রীলঙ্কার নৌসেনার হাতে আটক ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রবল আশঙ্কার মধ্যে পড়া তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি। প্রায় ৫০ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী এক সপ্তাহে অন্যায়ভাবে আটকে প্রতিবেশী দেশে। এই বছরে সেই সংখ্যাটা পেরিয়েছে ১০০। রামেশ্বরম থেকে তামিলনাড়ুর নেদুনথিভু এলাকায় জীবিকা নিয়েই প্রবল সংশয়ে মৎস্যজীবীরা।

২৩ জুন রামেশ্বরমের নেদুনথিভু এলাকার ২২ মৎস্যজীবীকে আটক করে শ্রীলঙ্কার নৌসেনা। এরপর থেকেই প্রতিবাদে সামিল হওয়া শুরু করে রামেশ্বরমের মৎস্যজীবীরা। তাঁদের দাবি, এভাবে শ্রীলঙ্কার নৌসেনার গ্রেফতারির কারণে তিনটি মৎস্যজীবী পরিবার শেষ হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের দুরবস্থার পরেই মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে।

এরপরই ফের রবিবার ২৬ মৎস্যজীবীকে আটক করে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী। আটকে রাখা হয় তাদের নৌকাও। রামেশ্বরম এলাকা মৎস্যজীবীদের সংগঠনের দাবি, এমনিতেই তাঁদের বর্ষার প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাছ ধরতে হয়। তার উপর পক প্রণালী এলাকায় মাছ ধরতে গেলে বারবার প্রতিবেশী দেশের সেনা বাহিনীর ভয়ে বিপন্ন তাঁদের জীবিকা। তাঁদের দাবির সঙ্গে সহমত মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনও। তাই কেন্দ্রের বিদেশ মন্ত্রকের দ্রুত হস্তক্ষেপও তিনি দাবি করেন।

যদিও বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে কলম্বোর ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও জাফনা দূতাবাস মৎস্যজীবীদের দ্রুত ফেরানো নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে কেন্দ্রের আশ্বাসে চোখের জল মুছছে না মৎস্যজীবীদের পরিবারের। চূড়ান্ত আশঙ্কায় রামেশ্বমের মৎস্যজীবী পরিবারগুলি। এই বছরই এপর্যন্ত এলাকার ১৫০ মৎস্যজীবীকে আটক করেছে শ্রীলঙ্কা নৌসেনা। তাদের না ফেরায় নতুন করে আটক মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলির আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

Previous articleউত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
Next article“স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা”, হাথরসের ঘটনায় শোকপ্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর