অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চান, চোপড়া কাণ্ডে সুর নরম বিধায়ক হামিদুলের

চোপড়া কাণ্ডের শুরুতে মূল অভিযুক্ত তাজমুল ওরফে জেসিবির পাশে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান (Hamidul Rahaman)। ঘটনা কানে আসার পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোপড়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দলীয় বিধায়ক হামিদুল রহমানকে ফোন করেন। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ধমক দেন বিধায়ককে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তা নিয়ে সতর্ক থাকতে বিধায়ক হামিদুলকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে চোপড়ার সব পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় ক্লাবগুলিকেও বার্তা পাঠাতে বলেছেন, যাতে আর কোনও সালিশি সভা না বসানো হয়। চোপড়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দলের কোনও পদে থাকলে অবিলম্বে তাঁকে সেই পদ থেকে ছেঁটে ফেলার নির্দেশ বিধায়ককে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই চোপড়ার বিধায়ককে
উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব শোকজ করেছে। ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। কারণ, ঘটনার পরই বিধায়ক অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতা যুবতীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, যুবতীকে শাসন করতে গিয়ে একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে জেসিবি। তবে মুসলিম রাষ্ট্রে এমন বিচার হয়েই থাকে! এমন মন্তব্যে ঝড় উঠে যায় রাজ্যে।

এরপর আজ, বুধবার বিধানসভায় এসেছিলেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল (Hamidul Rahaman) তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিজের মন্তব্যের জন্য তিনি কি অনুতপ্ত? বিধায়ক বলেন, প্রধান অভিযুক্তকে তো পুলিশ গ্রেফতার করেছে, বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে, এখন আর এসব কথা বলার কি অর্থ? তাঁর সংযোজন, “আমি কোনও অসম্মানজনক মন্তব্য করিনি। অন্যায় হয়েছিল বলেই বলেছিলাম। কিন্তু আমার মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে, তাতে মহিলার অসম্মান হওয়ার জন্য আমি দুঃখপ্রকাশও করেছি।”

এদিন বিধানসভার বাইরে অবশ্য হামিদুল সুর অনেকটাই নরম করে দাবি করেন, জেসিবিকে জড়িয়ে তাঁর নামে মিথ্যে কথা রটনা হচ্ছে। তিনি চান ঘটনায় অভিযুক্ত জেসিবি-সহ প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি।

আরও পড়ুন: পিছল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মামলার শুনানি, নজর ঘোরাতেই মামলা! অভিযোগ আইনজীবীর

 

 

Previous article২১ টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়া ছেলেটাই ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্য কারিগর!
Next articleচণ্ডীতলা থানার পুলিশের তৎপরতায় সোনার দোকানে চুরির কিনারা, প্রশংসা সুপারের