Hathras: ‘আর্তনাদ দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি’! লাশের পাহাড় দেখে মৃত্যু কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর

হাথরাসে (Hathras) ভোলেবাবার সৎসঙ্গে গিয়ে পদপিষ্টের ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যে সেই সংখ্যা কমপক্ষে ১২৬। এরই মাঝে আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, এদিন দুর্ঘটনার পর যখন রীতিমতো লাশের পাহাড় জমতে শুরু করেছে তখন স্থানীয় এটা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মোতায়েন করা হয়েছিল দুই পুলিশকর্মীকে (police)। তাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন কনস্টেবল রবি কুমার (Ravi Kumar)। এবার পুলিশ কর্মীর আচমকা মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

পুলিশ সূত্রে খবর, চোখের সামনে এত মৃত্যু, রক্ত, আর্তনাদ দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি রবি। তাঁর সহকর্মী জানিয়েছেন, হাসপাতালের মর্গে যখন একের পর এক মৃতদেহের পাহাড় জমতে শুরু করে সেসময় রবি তা দেখে খুবই বিচলিত হয়ে পড়েন। মর্গের সামনেই অস্থির ভাবে পায়চারি করছিলেন তিনি। এরপর আচমকাই রবি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় রবির। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর।

হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনার পরই দুপুর ২টোর পর থেকেই লাশের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল হাসপাতালে মর্গে। হাসপাতালে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তার জন্য রবি এবং তাঁর এক সহকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল মর্গের সামনে। পুলিশ সূত্রে খবর, সিদ্ধার্থ নগরে থাকতেন ওই পুলিশ কর্মী। ২০১৪ সালে কাজে যোগ দেন। এরপর ২০২২ সালে অওয়াগড় থানায় বদলি হয়ে আসেন। চলতি বছরের ১৬ জুন পুলিশ লাইনে কুইক রেসপন্স টিমে যোগ দেন। মঙ্গলবার হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনার পরই রবিকে মর্গে মোতায়েন করা হয়েছিল। আর সেখানেই কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ কর্মীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে ধর্মগুরু ভোলে বাবার নামের কোনো উল্লেখ নেই। এরপরই রহস্য আরও জটিল হচ্ছে।


Previous articleখাস কলকাতায় ফের গণপিটুনির অভিযোগ, গ্রেফতার ৩
Next articleমলদ্বীপে মধুচন্দ্রিমা, শ্রীময়ীর জন্য গোলাপের পাপড়ি দিয়ে বিছানা সাজালেন কাঞ্চন!