২০ হাজার কোটির বেনিয়মের প্রমাণ কোথায়? রেশন বন্টন মামলায় ফের ইডিকে ভর্ৎসনা আদালতের

মুখেই বেনিয়মের অভিযোগ তুলছেন কিন্তু তার সপক্ষে প্রমাণ কোথায়? ফের আদালতে চরম ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। রেশন বন্টন মামলায় মঙ্গলবারই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয় ধৃত বাকিবুর রহমান ও বিশ্বজিৎ দাসকে। সেখানেই ইডির আইনজীবীর অভিযোগ ২০ হাজার কোটি টাকার বেনিয়ম হয়েছে এই মামলায়। প্রশ্নের উত্তরে আদালতে পাল্টা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, আপনারা মুখেই বলেছেন। কিন্তু তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারছে না। মৌখিক বয়ান ছাড়া তার প্রমাণ (Prove) কোথায়? আদালতের এই প্রশ্নের ভিত্তিতে ৫ জুলাই উত্তর দেবে ইডি।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বাকিবুর রহমান। কিন্তু তা সত্ত্বেও টাকার অভাবে সংসার চলছে না তাঁর পরিবারের। কারণ রেশন মামলায় তদন্তের জন্য আটাকল মালিকের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এর মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। যার জেরে বাকিবুরের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা তুলতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাই চেক সই করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন বাকিবুর। বাকিবুরের সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে আদালত। জেলবন্দি বাকিবুরের পরিবার যাতে সমস্যায় না পড়ে, সেজন্য জেলে গিয়ে তাঁর স্ত্রী এক জেল কর্মীর উপস্থিতিতে চেকে সই করাতে পারবেন, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

তবে এদিন আচমকা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে বড় বিপাকে পড়েন ইডি-র আইনজীবী। অন্যদিকে এদিন সওয়াল জবাবের সময়ে ধৃত বিশ্বজিতের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ বলেন, মৌখিক বয়ান ছাড়া ইডি-র হাতে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। ফরেক্স ব্যবসার মাধ্যমে টাকা পাচারের যে কথা বলা হচ্ছে তাও এক সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে। ওই সাক্ষী বিশ্বজিতের সঙ্গে পুরনো বিবাদের জেরে ওই বয়ান দিয়েছেন বলে আদালতে তাঁর আইনজীবী উল্লেখ করেন। আইনজীবীর আরও বক্তব্য, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সেই ব্যক্তির মোবাইল থেকেই নথি মিলেছিল। জনৈক সেই ব্যক্তি এখন দুবাই চলে গিয়েছেন বলে বিচারককে জানান।


Previous articleকলম্বিয়ার সঙ্গে ড্র করে আশঙ্কা নিয়ে কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল
Next articleডবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশে তিন বছরে নিখোঁজ ৩১ হাজার মহিলা!