সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের বিরাট ধাক্কা ও তারপরে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরই দেশে একের পর এক দুর্ঘটনা থেকে নাশকতার ঘটনা। ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে নজরই দিতে পারেনি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তথা অমিত শাহ। কাশ্মীরকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিজেপি সরকার এবার দ্রুত সুপ্রিম নির্দেশ পালন করার জন্য তৎপরতা দেখানো শুরু করল। রাজ্যে বিজেপির দখল কতটা রয়েছে বুঝে নিতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পরে কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ। যদিও তারপরেও নাশকতা আটকানো যায়নি। বৈঠক হয় জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়াও হয়। তারপরেও নির্বাচন নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়নি কেন্দ্রের তরফে।
তবে অমরনাথ যাত্রার পরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চায় কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কবে হওয়ার সম্ভব, সেই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে নিতে চান না অমিত শাহ। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে প্রথমবার রাজ্যের মর্যাদা পেয়ে নির্বাচনের পথে জম্মু ও কাশ্মীর। ফলে বিজেপির কাছেও এই নির্বাচন প্রেস্টিজ ফাইট। তাই কোনও ভাবেই দলীয় প্রস্তুতিতে খামতি রাখতে চায় না বিজেপি। তাই রাজ্যের নেতারা তৈরি হলে তবেই নির্বাচনের পথে পা বাড়াবে কেন্দ্র। লোকসভার ফলাফল অনুযায়ী খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই বিজেপি। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
