মাদক খাইয়ে গাড়িতেই তরুণীকে গণধর্ষণ! অবশেষে পুলিশের জালে দুই সহকর্মী 

মহিলা কর্মীকে অচৈতন্য করে গাড়ির মধ্যেই গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁরই দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে‌। সূত্রের খবর, হায়দরাবাদের (Hyderabad) একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার কর্মী জনার্দন রেড্ডি (২৫) এবং সাঙ্গা রেড্ডি (৩৯) ওই সংস্থারই সেলস এগজিকিউটিভকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। হায়দরাবাদের মিয়াপুরের এমন ঘটনায় নারী সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ছাব্বিশের নির্যাতিতা ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের করেছেন, সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, একটি সাইট ভিজিট সেরে ফেরার পথে গাড়িতেই কোল্ড ড্রিঙ্কসে মাদক মিশিয়ে তাঁকে জোর করে খাইয়ে দেয় দুই সহকর্মী। এরপরই তরুণী মিনিট কয়েকের মধ্যে আচ্ছন্ন হয়ে গেলে গাড়ির মধ্যে প্রায় সারারাত ধর্ষণ করে ওই দুই অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার জনার্দন ও সাঙ্গার সঙ্গে মিয়াপুরে গিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী।

এছাড়া জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্তরাই তাঁকে তাঁর হোস্টেল থেকে সকাল ১০টা নাগাদ গাড়িতে তুলে নেয়। তারপর আশেপাশেই একটা সাইট দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের সামনে গাড়িটি দাঁড় করায় জনার্দন। ওই তরুণীকে বলে, গাড়ি ব্রেকডাউন হয়েছে, সারাতে দেরি হবে। তাই তাঁকে কিছু খেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয় অভিযুক্তরা। তবে ওই তরুণী কিছু খেতে চাননি। তিনি গাড়ি থেকে নেমে যেতে চাইছিলেন। এরপরই এক অভিযুক্ত তাঁর জন্য একটা সফটড্রিঙ্ক আনে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ওই পানীয় খাওয়ার পরেই তাঁর মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। এরপর পুরো বিষয়টি তিনি তাঁর সহকর্মীদের বললে তারা তাঁকে গাড়ির ভিতরে গিয়ে বসতে বলে। নিজেরাও গাড়িতে উঠে তরুণীর মুখের মধ্যে মিষ্টি গুঁজে দেয়।

এরপর সোমবার সকাল পর্যন্ত নারকীয় অত্যাচারের পর অভিযুক্তেরা মিয়াপুরে একটি হোস্টেলের কাছে তরুণীকে ফেলে চম্পট দেয়‌। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, পানীয়ে নেশার দ্রব্য মেশানো, চিটিং-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, তরুণীর মেডিক্যাল টেস্টেও ধর্ষণের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।

Previous articleদীর্ঘ টালবাহানার পরে বিধানসভাতেই শপথ রেয়াত-সায়ন্তিকার, পাঠ করালেন স্পিকার
Next articleমর্মান্তিক! ফের কোটায় আত্মহত্যা পড়ুয়ার, ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ