পরাজয়ের দায় স্বীকার থেকে দলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ। সবদিক থেকে শুক্রবার ইংল্যান্ডে জবনিকা পতন সুনক জমানার। প্রথা মেনে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটও তিনি এদিনই ছাড়লেন। স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও বিনয়ী শুনক প্রতিপক্ষ কিয়ের স্টার্মারকে সম্মান জানান। অন্যদিকে ক্ষমতার পালাবদলে এদিনই ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকে স্টার্মারের দাবি, নির্বাচনের আগে থেকে দেশে যে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন তা আজ থেকেই শুরু হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের দাবি, “এই পদে আমি আমার সর্বোচ্চ দান করেছি। কিন্তু আপনারা আপনাদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, আপনাদের বার্তাই একমাত্র রায় যা সব নির্ধারণ করে। পরিস্থিতি কঠিন, কিন্তু বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্বকে আমি সম্মানের সঙ্গে পালন করেছি। নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী একজন ভদ্র, জনসমর্থন পাওয়া মানুষ, যাঁকে আমি সম্মান করি। তিনি এবং তাঁর পরিবার আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন যেহেতু এই দরজার পিছনে তাঁদের যে নতুন জীবন শুরু হতে চলেছে তাতে অনেক পরিবর্তন আসতে চলেছে।”

বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পদত্যাগ নিশ্চিত করা হয়। ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদে তাঁকে আহ্বান জানানোর আগে কিয়ের স্টার্মারও এদিন দেখা করেন চার্লসের সঙ্গে।

এরপরই তিনি সস্ত্রীক প্রবেশ করেন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে। লেবার পার্টির উৎসুক সমর্থকদের সামনে তিনি ঘোষণা করেন, “পরিবর্তনের কাজ এই মুহূর্ত থেকে শুরু হবে। নতুন সুযোগ তৈরি করার মধ্যে দিয়ে ইটের উপর ইট গেঁথে দেশকে নতুনভাবে গড়ার কাজ শুরু করা হবে। সরকারকে পরিষেবার সরকারে পরিণত করতে জাতির পুণঃস্থাপনা প্রয়োজন।” সেই সঙ্গে তিনি নিজের পূর্বসুরি ঋষি সুনককেও ধন্যবাদ জানান।


অন্যদিকে ইংল্যান্ডের লেবার পার্টির বিপুল জয়ের পর স্টার্মারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সর্বক্ষেত্রে নীতিগত অংশীদারিত্ব দৃঢ় করার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক স্থাপনের অনুরোধ জানান তিনি। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককেও দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান মোদি।

