ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ছে, বিপদে শহর কলকাতাও

হু-এর দাবি, ভারতের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের আইন আরও কড়া হওয়া প্রয়োজন। আর সেটা হলেই দেশের দশ শহরে গড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব

এগারো বছরে ৩৩ হাজার মানুষ। শুধুমাত্র দেশের দশ শহরে বছরে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এমন ক্যান্সারে যা শুধুমাত্র দূষণের জন্য তৈরি হয়েছে। এই তালিকায় বাদ নেই আমাদের শহর কলকাতাও। দিল্লি থেকে হায়দ্রাবাদ এমনকি শিমলা শহরেও বাতাসে বিষ এমনভাবে মিশছে যা শরীরে জন্ম দিচ্ছে ক্যান্সারের জীবাণু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেড়ে চলেছে দূষণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী বাতাসে পিএম ২.৫ দূষক প্রতি বর্গমিটারে ১৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত থাকতে পারে। তার থেকে বেশি হলে তা মানুষের শরীরের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব বিস্তার করবে। আর ঠিক সেটাই হয়ে চলেছে দেশের দশটি শহরে – যার মধ্যে চার মেট্রো শহর দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা ও চেন্নাই অন্যতম। এই শহরগুলিতে দূষক পিএম ২.৫-এর পরিমাণ প্রতি বর্গমিটারে গড়ে প্রায় ৬০ মাইক্রোগ্রাম, যা হু-এর স্বাস্থ্যবিধির প্রায় চারগুণ।

এই দূষকের কারণেই ক্যান্সার বাসা বাঁধে মানুষের শরীরে। একটি গবেষণা বলছে দেশের শহরগুলিতে যে সংখ্যায় ক্যান্সারে মৃত্যু হচ্ছে তার প্রায় ৭.২ শতাংশ হয়েছে এই দূষকের কারণে। এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। রাজধানী দিল্লিতে এই দূষণের প্রভাবে মৃত্যুর সংখ্যা সবথেকে বেশি, বছরে প্রায় ১২ হাজার।

হু-এর দাবি, ভারতের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের আইন আরও কড়া হওয়া প্রয়োজন। আর সেটা হলেই দেশের দশ শহরে গড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকায় প্রয়োজনে অন্য দেশের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

Previous articleসুনাকদের ধরাশায়ী করা স্টার্মারকে জানেন ?
Next articleতেলেঙ্গানায় BRS-এ ভাঙন অব্যাহত! আরও ৬ বিধান পরিষদ সদস্যদের কংগ্রেসে যোগ