ওয়াংখেড়েতে ট্রফি হাতে আবেগে ভাসলেন বিরাট-রোহিতরা , কী বললেন তাঁরা

বৃহস্পতিবার টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরেছে ভারতীয় দল। সকাল থেকেই দেষে আবেগে ভাসলেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। প্রথম দিল্লি , তারপর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। সব জায়গায় জনস্রোতে ভাসল টিম ইন্ডিয়াকে নিয়ে। এদিন মুম্বই বিমানবন্দরে নেমে হুড খোলা বাসে করে জনসমুদ্রের মধ্যে দিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আসেন রোহিতরা। আর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এসে ফের একবার হার্দিক পান্ডিয়ার প্রশংসায় মাতেন ভারত অধিনায়ক। যা শুনে চোখে জল ভারতীয় অলরাউন্ডারের।

এদিন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোহিত বলেন, “ শেষ ওভারে যে কোনও রান বাঁচানোই খুব কঠিন। প্রচুর চাপ থাকে। সেই চাপ সামলে হার্দিক বল করেছে। প্রথমে ক্লাসেনকে আউট করে ও আমাদের খেলায় ফিরিয়েছে। তার পরে শেষ ওভারে মিলারের উইকেট নিয়েছে। আমাদের বিশ্বকাপ জিতিয়েছে। হার্দিক দুর্দান্ত।” অধিনায়কের কথা শুনে কেঁদে ফেললেন সামনে বসে থাকা হার্দিক ।“

এদিকে বিশ্বকাপ জয় নিয়ে নিজের উপলব্ধির কথা জানালেন বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, “ আমি আর রোহিত শর্মা ১৫ বছর ধরে এক সঙ্গে খেলছি। আমরা দু’জনেই একবার করে বিশ্বকাপ জিতেছি। দেশকে আরও একটা বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করেছি। পারিনি। এবার জেতার পর দু’জনেই কাঁদছিলাম। কাঁদতে কাঁদতেই আমরা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলাম। সেই মুহূর্তটা আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম সেরা।’’ এরপর তিনি আরও বলেন,‘‘২০১১ সালে এই মাঠে যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, খুব আনন্দ হয়েছিল। তখন আমার বয়স ২১ কী ২২। তখন দলের সিনিয়রদের চোখে জল দেখেছিলাম। তাঁদের কান্নার গুরুত্ব বুঝতে পারিনি। মনে আছে সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে নিয়ে ঘুরেছিলাম আমরা। তাও মনে হয়েছিল, আমরা তো সহজেই বিশ্বকাপ জিতলাম। এবার উপলব্ধি করলাম একটা বিশ্বকাপ জেতা কত কঠিন। নিজে কেঁদে বুঝলাম ২০১১ সালে সিনিয়রেরা কেন কেঁদে ছিল।”

আরও পড়ুন- বিএসএস-এর সঙ্গে ড্র করল DHFC


Previous articleচিকিৎসক অনির্বাণ দত্তের রহস্যমৃত্যুতে দায়ের FIR, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের 
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ