Tuesday, August 26, 2025

তৃণমূলকে নিশানা-ভাতাকে ‘ভিক্ষা’ বলার খেসারৎ দিয়েছে বঙ্গ CPIM: স্বীকার কেন্দ্রীয় কমিটির

Date:

শূন্যের খরা কাটেনি বাংলায়। লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে কাঁটাছেঁড়াতে রাজ্য CPIM-কেই কাটগড়ায় দাঁড় করালেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। পর পর নির্বাচনে সিপিআইএমের ভরাডুবি নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে একই সঙ্গে নিশানা করার নীতিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তাদের মতে, বাংলায় দলে অতি উৎসাহী ‘ফেসবুক বিপ্লবী’দের মুখে বাংলায় রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে ‘ভিক্ষা’, ‘ঘুষ’ বলে কটাক্ষ ভালো ভাবে নেননি বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ। ফলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আলিমুদ্দিন।২০১৯-এর পর ২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও বাংলায় ১টি আসনেও জিততে পারেনি সিপিআইএম। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে CPIM-এর রাজ্য কমিটির বৈঠকে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম (Sitaram Yechuri)। ভোটের ফল নিয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে তিনি বলেন, “বাংলায় আমরা নতুন পার্টি পেয়েছি। ফল খারাপ হলেও এখানে প্রচার খুব ভাল হয়েছে।“ অর্থাৎ নতুনদের সামনে আনার কথা বলেছেন সীতারাম। সেখানেই রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্ব ও তাঁদের নীতিতেই ভরাডুবির জন্য কার্যত নিশানা করে করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

কেন্দ্রীয় কমিটি সাফ কথা, বাংলার বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে এগোয়নি আলিমুদ্দিন। যেহেতু লোকসভা ভোট, সেই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তুলনায় বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্র করা উচিৎ ছিল। কিন্তু প্রচারে সেটা হয়নি। উল্টে প্রচারে নরেন্দ্র মোদির তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানাই প্রাধান্য পেয়েছে। বাংলায় দলের এই নীতি ও মানসিকতাকেই ‘সমস্যা’ বলে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তাদের মতে, ২০২১ থেকেই এই প্রবণতা চলছে। যার নিট ফল শূন্য।

CPIM-এর কেন্দ্রীয় কমিটির মতে, রাম-বামের বোঝাপড়ার যে অভিযোগ তৃণমূল তুলেছে তা  ভিত্তিহীন হলেও, বিজেপি হেরেছে এমন অনেক আসনেই ভালো ভোট পেয়েছে সিপিআইএম। বঙ্গ নেতৃত্ব না মানলেও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি স্বীকার করেছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলির কারণে তৃণমূল ইতিবাচক ভোট পেয়েছে। আর সেই প্রকল্পকে ‘ভিক্ষা’, ‘ঘুষ’ বলে কটাক্ষ করেছে বঙ্গ সিপিআইএমের নেতারা। ফলে দলর প্রতি বিরক্ত হয়েছেন বাংলার গরিব মানুষ। জনভিত্তি হারিয়েছে আলিমুদ্দিন। বাংলার সিপিএম যতই সন্ত্রাসের দিকে আঙুল তুলুক না কেন, কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করা হয়েছে।






Related articles

আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ভুয়ো প্রচার মামলায় নোটিশ ধরাল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের...

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...

ধনধান্যে ভরে, মা এসেছে ঘরে: মুখ্যমন্ত্রীর লেখা-সুরে গান এবার দুর্গাপুজোয়

বাংলা ও বাঙালির বড় উৎসব আর পুজোর গান— এক অপূর্ব মেলবন্ধন। এখন দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা...
Exit mobile version