প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির (Prodesh Congress President) পদ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরীর বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁর ইস্তফা পত্র কিছুদিন আগেই দিল্লি হাইকমান্ড গ্রহণ করেছে। আপাতত “স্টপ গ্যাপ” সভাপতি হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন অধীর। পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের নতুন সভাপতি হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম ভাসছে। কংগ্রেস হাই কমান্ডের বাছাই তালিকায় আপাতত চারটি নাম উঠে এসেছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, খুব দ্রুত বৈঠক ডেকে রাজ্যের নেতাদের মতামত জানতে চাওয়া হবে।তারপর হাইকমান্ডের অনুমোদনে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণা হবে।

এদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি (Pradesh Congress President) আপাতত যে চার জনের নাম উঠে এসেছে, তাঁরা হলেন— এক, নেপাল মাহাতো। এআইসিসি সূত্রের খবর, বর্ষীয়ান নেতা নেপাল প্রতি অধীর চৌধুরীর সমর্থন রয়েছে। দুই, উত্তরবঙ্গের নেতা শঙ্কর মালাকার। এখনও উত্তরবঙ্গে যেটুকু সংগঠন কংগ্রেস ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, তা বহুযুদ্ধের নায়ক দাপুটে নেতা শঙ্কর মালাকারের জন্যই। তিন, এআইসিসি-র প্রাক্তন সম্পাদক শুভঙ্কর সরকার। সজ্জন ও সুবক্তা হলেও বড় নরম প্রকৃতির মানুষ তিনি। তাই এই নামটি বিবেচনায় থাকলেও, শেষপর্যন্ত শুভঙ্করবাবু দৌড়ে থাকবেন কিনা সন্দেহ। এবং চার, আবদুস সাত্তার। তিনি বাম আমলের মন্ত্রী। সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে এসেছেন। তাই এই নামটিও শেষপর্যন্ত টিকবে বলে মনে হয় না।

এই চার জনের পাশাপাশি দীপা দাশমুন্সির নামও এআইসিসি-র পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তবে তিনি রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে কংগ্রেস হাই কমান্ডের সংশয় রয়েছে। কারণ এ চেল্লাকুমার পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক থাকাকালীন তাঁকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি রাজি হননি। তবে অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্বে দীপাকে দেখা গিয়েছে। তিনি এখন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কেরল, তেলঙ্গানা, লক্ষদ্বীপের দায়িত্বে।

আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের জয়! রাজ্য-রাজ্যপাল বিবাদ মেটানো সুপ্রিম রায়ে প্রতিক্রিয়া ব্রাত্যর
