Sunday, November 16, 2025

টেটের ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধারে সাইবার বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন সিবিআই

Date:

২০১৪ সালে হওয়া রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের পরীক্ষা টেটে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)। বার বার প্রশ্ন উঠেছে, ওই ওএমআর কোথায় উধাও হয়ে গেল?সিবিআইয়ের একটি সূত্র দাবি করেছে, ওই ওএমআরের আসল তথ্য আর নেই। নিম্ন আদালতে জমা দেওয়া সিবিআইয়ের নথিতে টেটের ওএমআর কী ভাবে উধাও হয়েছে তা জানানো হয়েছে বলে দাবি। সেই টেটের উধাও হওয়া ওএমআরের খোঁজে ফের এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে পৌঁছল সিবিআই। তাদের সঙ্গে আছেন এক কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ এবং এক সাইবার বিশেষজ্ঞ।মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ৫১৮ নম্বর বাড়িতে যান সিবিআই গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের দাবি, ওই কোম্পানির কম্পিউটার থেকে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিটের তথ্য খুঁজে বার করার চেষ্টা করবেন বিশেষজ্ঞেরা।

সপ্তাহখানেক আগে সিবিআইকে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, সিবিআই যদি ওএমআর তথ্য উদ্ধার না করতে পারে, তবে তারা তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিক। প্রয়োজনে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির সংস্থাগুলির থেকেও সিবিআই সাহায্য নিতে পারে। সেই নির্দেশ পাওয়ার পর চার দিনও পার হয়নি, দুই বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে হাজির হল সিবিআই।

২০১৪ সালে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে যে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তার কেন্দ্রে রয়েছে ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের তথ্য। এই তথ্য স্ক্যানিংয়ের দায়িত্বে ছিল এস বাসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। প্রাথমিকের নিয়োগে ওই ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের কাছে হার্ড ডিস্কের তথ্য তলব করেছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ওএমআর শিট স্ক্যান করে কোথায়, কোন হার্ড ডিস্কে রাখা হয়েছিল, শুক্রবার আদালতের কাছে সেই বিষয়ে তথ্য জমা দিতে হবে সিবিআইকে। কিন্তু শুক্রবার সিবিআই আদালতে জানায়, তাদের পক্ষে ওই তথ্য জমা দেওয়া সম্ভব নয়। সিবিআইয়ের সূত্র এ-ও দাবি করেছে, যে সার্ভারে ওএমআরের নথি রাখা হয়, তা ২০১৭ সালে বদলে ফেলা হয়। কেন, তার কারণও জানানো হয়েছে। ওই সূত্র বলছে, যে হার্ড ডিস্কে তথ্য ছিল, সেটা ২০১৭-১৮ সালে হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
সিবিআই সূত্রে আরও দাবি করা গিয়েছে, যে সার্ভারে ওএমআরের নথি রাখা হয়, তা ২০১৭ সালে বদলে ফেলা হয়। সার্ভার ‘ক্র্যাশ’ করা হয়েছিল। সিবিআই এই টেট দুর্নীতিকাণ্ডে যাঁদের জেরা করেছে, তাঁরা এই সার্ভার ‘ক্র্যাশ’ করার দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে সিবিআই।

 

Related articles

২৪ ঘণ্টা পার: উত্তরপ্রদেশে পাথরখনি ধসে আটকে ১৫ শ্রমিক! মৃত ২

নিয়ম না মেনে খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানো। তার জেরে বড় সড় ধস উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্রের পাথর খনিতে (stone quarry)। শুক্রবার...

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণস্থলে সেনা কার্তুজ উদ্ধার! উৎস নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা 

দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় (Car blast near Red fort) এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। রবিবার...

বিহারে হঠাৎ বাড়ল ৩ লক্ষ ভোটার! কমিশনের তথ্যেই কারচুপি প্রমাণিত

বিহার নির্বাচনে বিজেপির অস্ত্র নির্বাচন কমিশন। বারবার নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলি সেই অভিযোগেই সরব ছিল। বিহারে এসআইআর (Bihar...

বাংলাদেশের জেলে কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীর রহস্যমৃত্যু, পরিকল্পনা করে খুন! অভিযোগ পরিবারের

'ভুলবশত' বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলসীমা (Bangladesh water border) অতিক্রম করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছিল কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী। ৩২ বছরের বাবলু...
Exit mobile version