সংসারে গৃহিনীদের (Housewife) নিঃস্বার্থ ভূমিকা ও আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দিতেই হবে। বুধবার পুরুষদের উদ্দেশে এমনটাই জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন দেশের সব গৃহবধূদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা, তাঁদের অধিকার রক্ষার পাশেই দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। প্রচলিত ধ্যান ধারণা বদলে এদিন শীর্ষ আদালতের বড়সড় নির্দেশের পরই আশায় বুক বাঁধছেন গৃহিণীরাও। তবে আদালত এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে স্বামীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের (Joint Account) পাশাপাশি এটিএম কার্ড (ATM Card) ব্যবহারেও সমান অধিকার থাকা উচিত গৃহিণীদের।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এখন সময় এসেছে ভারতীয় পুরুষদের গৃহবধূদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেওয়ার। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন ও বিচারপতি আগাস্টাইন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, খোরপোশ সমস্ত গৃহিণীদের অধিকার। ধর্মের উপরে উঠে ভারতীয় পুরুষদের সেই দায়িত্ব এবার থেকে পালন করতেই হবে। শীর্ষ আদালত আরও জানায়, প্রত্যেক গৃহবধূকে অর্থনৈতিক অধিকার দেওয়া প্রত্যেক স্বামীর কর্তব্য হওয়া উচিত। আর সেকারণেই প্রত্যেক গৃহিণীর স্বামীর সঙ্গে জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত এবং এটিএম কার্ড ব্যবহারের ক্ষমতাও থাকা উচিত।
এদিন শীর্ষ আদালত আরও জানায়, অনেক স্বামীরাই বুঝতে পারেন না যে তাঁদের স্ত্রী, যাঁরা গৃহবধূ, তাঁদের উপরে ঠিক কতখানি মানসিক দিক থেকে নির্ভরশীল। আর সেকারণেই এবার সময় এসেছে ভারতীয় পুরুষদের গৃহবধূদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতির মূল্য ফিরিয়ে দেওয়ার। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের দেশে বড়সড় কিছু বদল ঘটবে তা ভাবা রীতিমতো অকল্পনীয়। কিন্তু শীর্ষ আদালতের এই রায়ে সমাজ ও সংস্কৃতির আদৌ কি কিছু পরিবর্তন হবে? তা সময়ই বলবে। তবে একইদিনে মুসলিম মহিলাদের খোরপোশের দাবির পাশাপাশি দেশের আপামর গৃহবধূদের পাশেই দাঁড়াল শীর্ষ আদালত।
