কলম্বিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে আস্থা জুগিয়ে নেস্তর লরেঞ্জো কোপার সেমিফাইনালে তুলেছেন কলম্বিয়াকে। অথচ,তাকে যখন জাতীয় দলের প্রধান কোচ করা হয়, তখন সে দেশের ফুটবল ফেডারেশনের কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তবে লরেঞ্জো সমালোচকদের কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজ করে গিয়েছেন। ২০২২ সালের জুনে তিনি দায়িত্ব পান। লরেঞ্জো ভালো কাজের সুফলটা পাচ্ছেন এখন। এই আর্জেন্টাইন কোচের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া কলম্বিয়া এবার কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে। টানা ২৩ ম্যাচ অপরাজিত তারা। বৃহস্পতিবার তাদের সামনে আরেক আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলো বিয়েলসার দল উরুগুয়ে। দুজনের দলই কোপা আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। দুজনের দলই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। শেষ চারে উঠতে তাদের দল রুখে দিয়েছে ব্রাজিলকেও। তাই স্বাভাবিকভাবেই উরুগুয়ে-কলম্বিয়ার আগামিকালের লড়াইটা শুধু দুই দলের নয়, ডাগআউটে দুই আর্জেন্টাইন কোচের একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই।

অবশ্য পরিসংখ্যানে উরুগুয়ের চেয়ে বেশ পিছিয়েই আছে কলম্বিয়া। উরুগুয়ে যেখানে ২০ টি জয় পেয়েছে, তাদের বিপরীতে কলম্বিয়ানদের জয় ১৪টি, ১১ ম্যাচ ড্র হয়েছে । উরুগুয়ে যেখানে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, আর্জেন্টিনার সঙ্গে যৌথভাবে রেকর্ড ১৫ বারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন; সেখানে কলম্বিয়া কখনও বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি টপকাতে পারেনি. কোপায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাত্র একবার, সেই ২০০১ সালে।

কিন্তু শার্লোটের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে এবারের লড়াইটা অনেকটাই অন্যরকম। কলম্বিয়ার বর্তমান ফর্ম উরুগুয়েকে ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য। কোপার সর্বশেষ ৫ আসরেই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে কলম্বিয়া। শিরোপা থেকে দুই ধাপ দূরে থাকা দলটি এবার আরও বড় কিছুর লক্ষ্যেই খেলতে নামবে। ব্রাজিলকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় করে দেওয়া উরুগুয়েও নিশ্চিতভাবে শেষ চারে থামতে চাইবে না। ১৩ বছর পর মহাদেশীয় শিরোপা জেতাই পাখির চোখ কোচ বিয়েলসার। অবশ্য, ব্রাজিলের মতো কলম্বিয়ারও সব পজিশনে ভালো খেলোয়াড় আছে। তবে আগামিকাল একাদশ সাজাতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে পারেন বিয়েলসা। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের তিন ডিফেন্ডারকে পাবে না উরুগুয়ে। ব্রাজিলের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় এ ম্যাচে থাকছেন না রাইটব্যাক নাহিতান নান্দেজ। চোটের কারণে খেলতে পারবেন না তারকা ডিফেন্ডার রোনাল্ডো আরাউহো এবং উইং ব্যাক মাতিয়াস ভিনা। সর্বশেষ দুই ম্যাচে ফরোয়ার্ডদের গোল না পাওয়াও উরুগুয়ের চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
