Thursday, August 28, 2025

মরণোত্তর কীর্তিচক্র উপাধি পাওয়ার পরে ভারতীয় সেনার চিকিৎসক অংশুমান সিংয়ের পরিবার গোটা দেশের নজর কেড়েছে। বিয়ের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে স্বামীকে হারানো চিকিৎসক স্মৃতি সিং-এর জন্য গোটা দেশ আফশোস করেছিল। যদিও ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে ২০২৩ সালে, কিন্তু রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান গ্রহণের সময়ই তাঁর পরিবার দেশের নজরে আসে। সংবাদ মাধ্যমের আলো পাওয়ার পরই কেন্দ্রের একাধিক নীতির উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শহিদের মা মঞ্জু সিং। অগ্নিবীর নীতি নিয়ে সরব হওয়ার পরে এবার সেনাবাহিনী নমিনি নীতি নিয়ে সরব শহিদে পরিবার।

২০২৩ সালে সিয়াচেন রেজিমেন্টে সেনা ছাউনিতে আগুন লাগার ঘটনার পরে জওয়ানদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে শহিদ হন অংশুমান সিং। একবছর ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ শহিদের মা-বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বাকি জীবনটা তাঁদের কাটবে কীভাবে, প্রশ্ন বাবা-মায়ের। তাই এবার কেন্দ্র সরকারের ‘নেম অফ কিন’ (Name of Keen) অর্থাৎ সুবিধা পাওয়ার দাবিদারের নীতি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

কেন্দ্র সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নীতি অনুসারে অবিবাহিত সেনা জওয়ানদের নেম অফ কিন হিসাবে তাঁর বাবা-মায়ের নাম থাকে। কিন্তু জওয়ানের বিয়ের পরে সেই জায়গায় নাম হয় তাঁর স্ত্রীর। কিন্তু শহিদ অংশুমানের বাবা-মায়ের দাবি, আলাদা থাকেন পেশায় ডাক্তার স্মৃতি সিং। ফলে কীর্তিচক্রের খেতাবটির মতো জওয়ানের মৃত্যুর পর যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। শহিদের বাবা রবি প্রতাপ সিংয়ের আফশোস, “আমার স্ত্রী এবং পুত্রবধূ সেই সম্মান গ্রহণ করে। পুত্রের মরণোত্তর সম্মানকে ছুঁয়েও দেখার সুযোগ হল না।”

এই প্রসঙ্গেই তাঁরা কেন্দ্র সরকারের কাছে বারবার আবেদন করছেন, কেন্দ্রের নিয়ম বদলের। যে শহিদের বাবা-মা সেই জওয়ানদের উপরই নির্ভরশীল ভবিষ্যতে তাঁদের জন্যও এই নিয়ম সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই রকম একাধিক দাবি তুলে ফের কেন্দ্রের নিয়ম নীতিকে আরও একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন অংশুমানের বাবা-মা। তাঁদের দাবি, ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পরও এভাবেই একাধিক নীতি বদল করেছিল কেন্দ্র।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version