চার কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনেও জা.মানত বা.জেয়াপ্ত বাম-কংগ্রেসের!

একমাত্র রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভায় লোকসভার তুলনায় দুই শতাংশ ভোট কমেছে বামেদের

লোকসভা ভোটের পর চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনেও বিপর্যয় অব্যাহত। উপ-নির্বাচনের ফলাফলে আরও একপ্রস্থ ধাক্কা খেতে হলো বাম-কংগ্রেসকে। মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জ-চারটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছেন বাম-কংগ্রেস প্রার্থীরা।সেই সঙ্গে রাজ্য-রাজনীতিতে আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল বাম-কংগ্রেস জোট। ভোটের ফলাফল অন্তত তাই বলছে। চারটি বিধানসভাতেই বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই অবস্থায় সিপিএম নেতৃত্ব ভোট লুটের তত্ত্ব আঁকড়ে পিঠ বাঁচাতে চাইছেন। সেই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, তিনটি বিধানসভায় লোকসভার তুলনায় ভোট শতাংশ সামান্য বেড়েছে। একমাত্র রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভায় লোকসভার তুলনায় দুই শতাংশ ভোট কমেছে বামেদের।

মানিকতলা বিধানসভা উপ নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী রাজীব মজুমদারের ঝুলিতে এসেছে ৯ হাজার ৪৭৮টি ভোট। যেখানে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৪২১টি ভোট। রায়গঞ্জে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত ১৫ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। লোকসভা ভোটের নিরিখে রানাঘাট দক্ষিণে সিপিএম প্রায় ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এই উপ নির্বাচনে তা কমে ৬ শতাংশের আশপাশে এসেছে। বাগদা বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়নি। সেখানে বামফ্রন্টের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রায় ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেস প্রার্থীর ভোট শতাংশ ১ শতাংশও হয়নি।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, গোটা দেশে উপ নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি হেরেছে। বিরোধীদের জয় হয়েছে। বাংলায় সেটা তৃণমূল জিতেছে। আমার বক্তব্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর দু’টি কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবারও লোকসভার পর উপ নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট শতাংশ কমবেশি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। আসলে লুটের ভোটের হিসেব রাখা বড় দায়।

 

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleস্বস্তি নেই! জেলের বাইরেই ফের গ্রেফতার ইমরান-বুশরা