আজ ইউরো কাপের ফাইনাল। মুখোমুখি স্পেন-ইংল্যান্ড। তার আগে একটা প্রশ্ন ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। ৫৮ বছরের খরা কি কাটবে! সেই কবে ১৯৬৬ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। তার পর থেকে শুরুই খরা। চার বছর আগে ইউরোর ফাইনালে উঠেও শেষরক্ষা হয়নি ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে। হ্যারি কেনদের সামনে এবার আরও একটা ইউরোর ফাইনাল। গ্যারেথ সাউথগেটের ফুটবলাররা পারবেন কি এবার শেষ হাসি হাসতে!

ফাইনালের আগেই সাউথগেটকে বার্তা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন কোচ গোরান এরিকসেন। ক্যান্সার আক্রান্ত ৭৬ বছরের এরিকসেন নিজের কলামে লিখেছেন, ‘‘মনেপ্রাণে চাইছি ইংল্যান্ড জিতুক। যারা ইংল্যান্ডকে কোচিং করিয়েছি, কোনও বড় ট্রফি জিততে পারিনি। আমরা যা পারিনি, গ্যারেথ তুমি সেটা করে দেখাও। কয়েক সপ্তাহ ধরেই শরীরটা ভাল যাচ্ছে না। তবে ফাইনাল দেখব। মনে হচ্ছে, দারুণ উপভোগ্য একটা ম্যাচের সাক্ষী থাকতে চলেছি। ইংল্যান্ডের সামনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ভাল সুযোগ রয়েছে।’’

এদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের একাংশ আবার দাবি তুলেছে, রবিবারের ফাইনালে হ্যারি কেনকে বসিয়ে অলি ওয়াটকিন্সকে খেলানোর। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কেনের পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নেমে শেষ মুহূর্তে ইংল্যান্ডের জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ওয়াটকিন্স। তবে সাউথগেট সম্ভবত নিজের প্রথম এগারোতে কোনও বদল আনছেন না। ইংল্যান্ড কোচ বরং জোর দিচ্ছেন নিজের মাঝমাঠ আরও মজবুত করার। আর এই কাজে তাঁর বাজি জুড বেলিংহ্যাম। তাঁকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় আক্রমণের ছক সাজাচ্ছেন সাউথগেট। স্প্যানিশ শিবিরে লামিনে ইয়ামাল, নিকো উইলিয়মসের মতো দু’জন গতিময় উইঙ্গার রয়েছে। তাই দুই সাইডব্যাককে সাউথগেট নির্দেশ দিয়েছেন ইয়ামালদের ফাঁকা জায়গা না দিতে।

একই সঙ্গে পাল্টা দিতে নিজের দুই উইঙ্গার বুকায়ো সাকা ও ফিল ফোডেনের উপর ভরসা রাখছেন ইংল্যান্ড কোচ। সাকা দারুণ ছন্দে থাকলেও, ফোডেন এখনও পর্যন্ত সুনাম অনুযায়ী পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইউরোর ৬টি ম্যাচের পাঁচটিতেই ফোডেনকে দ্বিতীয়ার্ধে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন সাউথগেট। ফোডেন নিজে বলছেন, ‘‘আমি নিজেও হতাশ। চেষ্টা করছি, মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দেওয়ার। কিন্তু এখনও প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এবার ফাইনাল খেলব। যেভাবেই হোক, দেশকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য নিজের সেরাটা উজাড় করে দেব।’’

কাপ জেতার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ফোডেনের সতীর্থ তথা ইংল্যান্ডের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইসও। তিনি বলছেন, ‘‘চার বছর পর আরও একটা ইউরো ফাইনাল। পুনরাবৃত্তি চাই না। এবার কাপ জিততে কেমন অনুভূতি হয়, সেই অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে মুখিয়ে রয়েছি।’’
