পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ খরচ করতেই হবে, ডেডলাইন বেঁধে দিল পঞ্চায়েত দফতর

দীর্ঘ লোকসভা ভোটের কারণে প্রায় তিনমাস প্রশাসনিক কাজকর্মের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও ব্যহত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পরিচালিত গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের ওপরেও। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখেও অনেক জেলা যথেষ্ট পিছিয়ে পড়েছে। এবার সময়সীমা বেঁধে ওই টাকা খরচের জন্য তাদের কড়া নির্দেশ দিল রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। হাওড়া শরৎ সদনে সোমবার রাজ্যের সমস্ত ব্লকের পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পঞ্চায়েত দফতরের কর্তারা।

সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অব্যবহৃত বরাদ্দ আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে খরচ করতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এজন্য প্রয়োজনীয় গ্রামীণ প্রকল্পের টেন্ডার চূড়ান্ত করতে হবে।পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে চলতি আর্থিক বছরে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত রাজ্যকে ৩ হাজার ১২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ ২ জুলাই পর্যন্ত বরাদ্দ অর্থের গড়ে মাত্র ২৭ শতাংশ খরচ হয়েছে। দীর্ঘ লোকসভা ভোট পর্বে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ আটকে থাকার কারণেই এবার বরাদ্দ খরচ কম হয়েছে বলে রাজ্যের পঞ্চায়েত কর্তাদের দাবি। এই টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যের ১০৩টি ব্লক সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে বলে ওই দফতর সূত্রে জানা গেছে। তাদের ১৫ আগস্টের মধ্যে ওই অব্যবহৃত টাকার কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ ব্যবহার করতেই হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এদিন এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, টেন্ডার করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে তাই টেন্ডারের জন্য সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। সেই পদ্ধতির জন্য স্পেশ্যাল ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। পঞ্চায়েত দফতরের বক্তব্য, টেন্ডার নিয়ে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। তাই এই বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া ই-গ্রাম স্বরাজ পোর্টালের বিষয়েও অনেকের সঠিক ধারণা নেই। এক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে, কোন প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সে ব্যাপারেও নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই বৈঠকে।

পঞ্চায়েত দফতর নির্দেশ দিয়েছে, অনাবশ্যক প্রকল্প চয়ন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিডিও-র নেতৃত্বে টেকনিক্যাল বিষয়গুলি নিয়ে এস‌ওপি তৈরি করতে হবে এবং পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অন্তর্গত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনে দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে উল্লেখ্য অর্থ কমিশনের সুপারিশ মাফিক জেলা পরিষদগুলো প্রতি বছরই নির্দিষ্ট কিছু টাকা পায় । জেলা পরিষদের অধীনে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে নলকূপ বসানো, গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার সহ পরিকাঠামো সংক্রান্ত একাধিক কাজে তা ব্যয় করা হয়। এবার প্রথম কিস্তির টাকা খরচ না হওয়ায় দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তা আটকাতেই পঞ্চায়েতগুলিকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন- ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ পৌঁছে দিতে চাষির দুয়ারে গিয়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ রাজ্যের

 

Previous articleশেষ আম্বানিদের বিয়ের ‘উৎসব’, যোগ দিলেন না কারা?
Next articleচলচ্চিত্র নির্মাণ-সম্পাদনা করতে আগ্রহী? বিশেষ কোর্স চালু করছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম অ্যাকাডেমি