উল্টোরথেও কড়া সতর্কতা পুরীতে, সকাল সকাল মাহেশে পুজো দমকল মন্ত্রীর 

হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা (Rathayatra)। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে প্রতিবছর পালিত হয় এই উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রথযাত্রা উৎসব পালিত হলেও পুরীর (Puri) গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আর সেই উৎসবকে কেন্দ্র করেই জগন্নাথধামে (Jagannath) ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। সোমবার উল্টোরথ উপলক্ষে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে তোড়জোড়। টানা ৯ দিন পর আজ মাসির বাড়ি থেকে নিজের বাসস্থানে ফিরবেন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা। তবে পুরীর পাশাপাশি বাংলাতেও এদিন সকাল থেকেই জগন্নাথদেবের আরাধনায় মেতে উঠেছেন রাজ্যবাসী। কলকাতার ইসকনের পাশাপাশি হুগলির মাহেশেও উৎসব শুরু হয়েছে সকাল থেকেই। সকাল থেকে ভক্তদের ঢল নেমেছে মাহেশে (Mahesh)। এদিন সকালে মাহেশে মাসির বাড়িতে জগন্নাথ দর্শন করে পুজো দেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)।

তবে রথযাত্রার দিনের মতোই উল্টোরথেও পুরীতে কড়া সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ভিড় সামলানোর জন্য ভক্তদের সমাবেশেও কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওড়িশা সরকার। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই দেবতাদের গুণ্ডিচা মন্দির থেকে পুরীর মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হবে। প্রথা অনুযায়ী, মাসির বাড়ি থেকে পোড়া পিঠে খেয়ে আবার রথে চড়ে বাড়ির পথে রওনা দেবেন জগন্নাথদেব। এই যাত্রাকেই বলা হয় উল্টোরথ। এদিন সুসজ্জিত রথে বসে দেবতারা পুরীর মন্দিরে ফিরবেন। তবে উল্টোরথ যাত্রা শেষ হলেই যে মন্দিরে প্রবেশ করেন দেবদেবীরা, এমনটা কিন্তু নয়। এখানেও কিছু বিশেষ আচার ও নিয়ম রয়েছে। মন্দিরের সামনে রথের মধ্যেই একটি গোটা দিন কাটান দেবতারা। সেখানে এক বিশেষ পানীয় নিবেদন করা হয়। এই প্রথাকে বলা হয় ‘অধর পানা’। এই বিশেষ আচার পালিত হওয়ার পর, পালিত হবে নিলাদ্রী বিজে। এরপরই রথযাত্রা সম্পন্ন হবে।

চলতি বছরের পুরীর রথযাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দু’দিন ধরে পালিত হয়েছে রথযাত্রা উৎসব। ৫৩ বছর পর বিরল কাকতালীয় ঘটনা ঘটে রথযাত্রায় দিন। এবার সকালের পরিবর্তে সন্ধ্যায় শুরু হয় রথযাত্রা উৎসব।