Thursday, December 18, 2025

বাংলায় শিল্পের বিকাশে সবুজ প্রযুক্তি, ৫০০০ গাছ লাগানোর ঘোষণা MCCI-র

Date:

Share post:

একদিকে শিল্পের বিকাশ অন্যদিকে সবুজায়নের বার্তা। এবার বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক ব্যবহারে উৎসাহ প্রদানে এবং রাসায়নিক সেক্টরের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল কাউন্সিল (Indian Chemical Council) এবং ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশনের (Indian Plastic Federation) সহযোগিতায়, ১৫ জুলাই পার্ক হোটেলে একটি কনক্লেভের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন গোলাম রব্বানি, ডঃ কল্যাণ রুদ্র, ডাক্তার রাজেশ কুমার, ললিত আগরওয়াল, দেবর্ষি দত্তগুপ্ত সহ অন্যান্যরা। এই অধিবেশন থেকে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে ৫ হাজার গাছ লাগানোর কথাও ঘোষণা করে MCCI।

গোলাম রব্বানি জানান যে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (WBPদেশের সবথেকে উন্নতমানের ইন্টেন্সিভ এয়ার কোয়ালিটি মনিটারিং নেটওয়ার্ক (Intensive Air Quality Monitoring Network) তৈরি করেছে। নিয়মিতভাবে ৮৩টি স্থানে ‘অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি’ পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরিবেশ অধি দফতর রাজ্যের চারপাশে ৪০০০টি ধোঁয়াবিহীন চুলা স্থাপন করেছে। তিনি জানান যে দেশের মধ্যে এ রাজ্যেই সবথেকে কম দূষণ হয়। বাংলা ইতিমধ্যে বায়োডিগ্রেডেবল এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক তৈরি ও ব্যবহারে মনোনিবেশ করছে। এবার শিল্পের প্রসারেও সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ করতে করতে সকলের সহযোগিতার কথা বলেন তিনি। ডব্লিউবিপিসিবির চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন প্লাস্টিক বর্জ্য সম্পদ হিসাবে ব্যবহার করা উচিত। WBPCB-এর সদস্য সচিব আইপিএস রাজেশ কুমার জানান দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ইতিমধ্যেই পাটের ব্যাগের প্রচার বাড়ানোর পাশাপাশি তুলোর ব্যাগের জন্য ভেন্ডিং মেশিন তৈরি করেছে। তিনি বলেন SEBI জানিয়েছে যে শীর্ষতালিকায় থাকা এক হাজার কোম্পানি ESG কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেবে। এর পাশাপাশি প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে পাট ও সুতির ব্যাগ ব্যবহার করার অনুরোধ জানান তিনি। নমিত বাজোরিয়া বলেন, এশিয়ায় রাসায়নিক উৎপাদনে ভারত তৃতীয় স্থানে রয়েছে, ভারতের জিডিপিতে যা ৩.৪ শতাংশ অবদান রাখে। ২০২০-২০২৫ সালের মধ্যে ৯.৩ শতাংশ CAGR বৃদ্ধির সাথে এই খাতটি ৩০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিষেক কুমার আগরওয়াল বলেন যে প্লাস্টিকের বাজার প্রায় ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। ২০৩০ সালের মধ্যে যা ৫.৭ লক্ষ কোটি পর্যন্ত হতে চলেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চাহিদা এবং শেয়ারহোল্ডারদের লাভের ক্ষেত্রে একটি বিশ্বব্যাপী আউটপারফর্মার হয়েছে ভারতীয় রাসায়নিক শিল্প। ভারতীয় GDPতে এর অবদান প্রায় ৭ শতাংশ।


spot_img

Related articles

হোটেল থেকে হোমস্টে, বড়দিনে জমজমাট শৈল শহরের বুকিং! 

উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরপুর শীতের আমেজ, সঙ্গে আবার উৎসবের মরশুম- তাই উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেরই ক্রিসমাস (Christmas time) ডেস্টিনেশন...

আজ থেকে ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের নোটিশ পাঠানো শুরু কমিশনের

বঙ্গে এসআইআর (Special Intensive Revision) পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এবার শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর)...

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...