Tuesday, December 16, 2025

পরীক্ষায় বড় ধরনের কারচুপির প্রমাণ ছাড়া নতুন করে নিট নেওয়ার বিরোধী সুপ্রিম কোর্ট

Date:

নিট-ইউজি পরীক্ষা ফের করানোর নির্দেশ দিতে হলে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে গোটা পরীক্ষা অস্বচ্ছ ছিল। নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কারণে বড় পরিসরে প্রভাব পড়েছে বলে যদি কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রেই ফের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের আবহে ফের পরীক্ষার দাবিতে ৪০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ একথা জানান। এর আগে ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে নিট মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তার আগে ১০ জুলাই গভীর রাতে সুপ্রিম কোর্টে নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে একটি হলফনামা পেশ করে এনটিএ। সেই হলফনামায় এনটিএ দাবি করেছিল, নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ সত্যি নয়।
গত ৫ মে নিট ইউজি পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। পরে গ্রেস মার্কস দেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নেয় পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। তবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ মানতে চায়নি তারা। ফের পরীক্ষার দাবিতে মামলাকারীদের তরফে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী নরেন্দ্র হুডা। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, এমন কোনও প্রমাণ থাকতে হবে যা থেকে বোঝা যাবে, প্রশ্নফাঁসের জন্য পুরো পরীক্ষাই প্রভাবিত হয়েছে।

শুনানির শুরুতেই এদিন প্রধান বিচারপতি মামলাকারীদের আইনজীবীর থেকে জানতে চান, সরকারি ও বেসরকারি কলেজ মিলিয়ে কতজন ডাক্তারিতে ভর্তি হতে পারেন। তাতে হুডা জানান, যদি ফের পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে গত বার যে ২৩ লক্ষ পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তারা আবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে চাইছে না শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীরা আবার পরীক্ষায় বসতে চাইছেন, শুধুমাত্র এই কারণে পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে না। পরীক্ষা ব্যবস্থায় সামগ্রিকভাবে প্রভাব পড়ার কোনও প্রমাণ মিললে, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই তা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, চিকিৎসক হওয়ার প্রথম ধাপ হল নিট প্রবেশিকা পরীক্ষা। এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করলেই এমবিবিএস, বিডিএস কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের ৫ মে হয় নিট পরীক্ষা । প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন। ফল প্রকাশিত হয় ৪ জুন। ফল প্রকাশের পরই থেকেই শুরু হয় বিতর্ক । প্রায় ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় ৭২০-ই পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। এছাড়াও সময় নষ্ট হওয়ার কারণ দেখিয়ে ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়। ফলে গোটা ঘটনায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলে দেশজুড়ে শুরু হয় শোরগোল। রাস্তায় নামে আন্দোলন করে পরীক্ষার্থীরা। এরপর গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কলকাতা থেকে শুরু করে ঝাড়খন্ড, বিহার ও মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

 

Related articles

মোটা অঙ্কের বাজেট নিয়ে মিনি নিলামে নামছে কেকেআর, দল পেতে পারেন ঈশ্বরণ

মঙ্গলবার আবুধাবিতে ২০২৬ সালের আইপিএলের মিনি নিলাম(IPL Mini Auction)। ৭৭টি জায়গার জন্য নিলামে উঠবেন ৩৫০ ক্রিকেটার। এই ৩৫০...

বাংলা না কি জ্বলছে! গদি মিডিয়ার অপপ্রচারকে ধুয়ে দিলেন সাধু থেকে আমজনতা

বাংলা না কি জ্বলছে! এখানে খুন-জখমের রাজনীতি চলছে! আক্রান্ত হিন্দু! গদি মিডিয়া এই খবর করতে এসেছিল কলকাতায় আর...

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা! কেন্দ্রের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লোকসভায় সোচ্চার তৃণমূল

পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বাগে আনতে না পেরে এবার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘন করে...

মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা! রাজ্যসভায় বিজেপির পর্দাফাঁস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মতুয়াকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মোদি সরকার ও বিজেপি—এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার...
Exit mobile version