Friday, December 19, 2025

নতুন তিন ফৌজদারি আইনে কী আছে? পর্যালোচনা করতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন রাজ্যের

Date:

Share post:

দেশের নতুন তিন ফৌজদারি আইন পর্যালোচনা করতে কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা রাজ্যের লোকায়ুক্ত অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের কমিটি গত পয়লা জুলাই থেকে দেশজুড়ে কার্যকর হওয়া নতুন তিন ফৌজদারি আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম আইন পর্যালোচনা করে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট দেবে।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর বুধবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সংবিধান মোতাবেক আইনশৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত এবং নতুন তিন আইনের বেশ কিছু বিষয়ের সঙ্গে যেহেতু রাজ্য সরকার যেহেতু একমত নয় (সেকথা লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে) তাই এই আইন তিনটি পর্যালোচনার প্রয়োজন। কমিটি মূলত দুটি বিষয় পর্যালোচনা করবে। প্রথমত নতুন তিন ফৌজদারি আইনের এরাজ্যের জন্য বিশেষ ভাবে কোনো সংশোধনীর প্রয়োজন আছে কিনা। দ্বিতীয়ত রাজ্যস্তরে আইনগুলির নাম পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা। এছাড়া এই তিনটি আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো বিষয়ে কমিটি প্রয়োজনীয় কোনো পরামর্শ থাকলে তাও দেবে। সাত সদস্যের কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল, সুপ্রিমকোর্টে সরকারপক্ষের মুখ্য কৌঁসুলি সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের মিহানির্দেশক এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে কমিটি প্রয়োজনে শিক্ষাবিদ, আইন বিশেষজ্ঞ, প্রবীণ আইনজীবী, গবেষকদের নিয়োগ করতে পারবে। নতুন আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মতামতও নিতে পারবে। তিন মাসের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা পড়বে।

উল্লেখ্য নতুন তিন আইনের নৈতিকতা এবং বস্তবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীকে আগেই চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিন আইন নতুন করে পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘গত ডিসেম্বরে সংসদের দুই কক্ষের ১৪৬ জন সাংসদকে বহিষ্কারের পর যে স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে ওই তিনটি বিল পাশ করানো হয়েছিল, তা ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কালো দাগ। এখন তা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন।’’

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিদায়ী লোকসভায় যে ভাবে কোনও আলোচনা ছাড়াই দ্রুত বিল তিনটি পাশ করানো হয়েছিল, তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মূল্যবোধের পরিপন্থী। স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার কথা ভেবে নবনির্বাচিত লোকসভার সদস্যদের তাঁদের আমলে কার্যকর হওয়া আইন নিয়ে বিতর্কে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।’’

আরও পড়ুন- দাম কমাতে নয়া উদ্যোগ, এবার ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

 

spot_img

Related articles

স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পে রাজ্যে আরও ২৩০ কোটি টাকা খরচ, বেশ কিছু অর্থ দেবে রাজ্য

স্বচ্ছ ভারত মিশন (Swachh Bharat Mission) প্রকল্পে রাজ্যে (State) আরও ২৩০ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে। পঞ্চায়েত দফতর...

ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা, কমিশনকে নিশানা ব্রাত্যর

শিক্ষকদের বিএলওর কাজে যুক্ত করে পঠন-পাঠনে এমনিই ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে, সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই ওই...

দু-মলাটে প্রকাশ হল তৃণমূল সরকারের দেড় দশকের রিপোর্ট কার্ড ‘উন্নয়নের পাঁচালি’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উদ্বোধন করেছিলেন আগেই। শুক্রবার বই আকারে প্রকাশিত হল তৃণমূল সরকারের (TMC Government) দেড়...

৬০ কোটির কেলেঙ্কারির ঝামেলায় আবারও নাম জুড়লো শিল্পা শেট্টির

শিল্পা শেট্টির বাড়িতে তল্লাশি! ৬০ কোটির কেলেঙ্কারির অভিযোগে ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী বললেন, “আমি নির্দোষ”। ৬০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির...