শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত রাজ্যপাল: রাজভবনের বিরুদ্ধে তদন্তের পথে সুপ্রিম কোর্ট!

রাজ্যপাল সংবিধানের দ্বারা কতটা রক্ষাকবচ পান, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আবেদনকারী, আদালতে পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির

চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হল না। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়ে দিল ৩৬১ ধারাকে শিখণ্ডি করে রাজ্যপাল যৌন হেনস্থার মতো অভিযোগের থেকে পার পেতে পারেন না। তাঁর রক্ষাকবচের এক্তিয়ার আদতে কতটা তা খতিয়ে দেখতে এবার রাজ্যের কাছে নোটিশ জারি করল সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারকেও এই মামলায় পার্টি করার নির্দেশ জারি করা হল। আদালতের পর্যবেক্ষণ প্রমাণ করল শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্তের পদ বা ক্ষমতা যাই হোক, তা মুছে ফেলা যায় না, জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু।

রাজভবনের মহিলা অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলার পরে রাজ্য পুলিশ বারবার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করেছে। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা না গেলেও রাজভবনের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যও প্রচেষ্টা চালানো হয়। কর্মীরা বা রাজভবন কোনওভাবে রাজ্য পুলিশকে সহযোগিতা করেনি। পাল্টা রাজভবন ১ জুলাই নোটিশ জারি করে রাজ্য পুলিশের রাজভবনে ঢোকা বন্ধ করে দেয়। পাল্টা অভিযোগ করা হয় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। রাজভবনের মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে।

অভিযোগকারী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন সংবিধানের ৩৬১ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালের রক্ষাকবচের এক্তিয়ার কতটা যে তাঁর জন্য রাজ্যের পুলিশ রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয় এই সংক্রান্ত নির্দেশিকার জন্য রাজ্যপালের দফতরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কতটা বাধা রয়েছে। সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা ওঠার পরই রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে খোদ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে না, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁচা শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত।

এই মামলায় কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে সাহায্যের নির্দেশ দেন প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূঁড়। রাজ্যপাল সংবিধানের দ্বারা কতটা রক্ষাকবচ পান, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আবেদনকারী, আদালতে পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির। এরপরই রাজ্যের পক্ষ থেকে বক্তব্য় পেশের জন্য নোটিশ জারি করা হয়।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানান, অভিযোগকারিনীর আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ রাজভবনের দাবি, যে এই ঘটনা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বা রাজ্যপালকে কালিমালিপ্ত করার জন্য, তাকে নাকচ করে দিচ্ছে। শ্লীলতাহানির ঘটনায় চাদরের তলায় লুকানো যাবে না, সে অভিযুক্তের পদ বা ক্ষমতা যা-ই হোক এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট তাতে রেখা টানবেনই।

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleচার বছরের চুক্তিতে লাল-হলুদে জিকসন সিং