হাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার এই সময় কলকাতার বুকে জনসুনামি দেখতে চলেছে গোটা রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) যুগলবন্দিতে একের পর এক নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অভাবনীয় সাফল্যের পর এই একুশে জুলাই-এর মঞ্চ অনেক দিক দিয়েই তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এই মঞ্চের অন্যতম চমক হতে চলেছে সমাজবাদী পার্টির (SP) নেতার উপস্থিতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে আগামিকাল মঞ্চে সপা নেতা তথা I.N.D.I.A জোটের অন্যতম মুখ অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) উপস্থিত থাকবেন বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। রবিবার সকালেই শহরে আসছেন তিনি। যোগ দেবেন তৃণমূলের অনুষ্ঠানে। ধর্মতলায় ঘাসফুল শিবিরের শহিদ তর্পণ কর্মসূচিতে অখিলেশের উপস্থিতি জাতীয় রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। উদ্ভব শিবিরের একাধিক নেতার থাকার সম্ভাবনাও প্রবল।
একুশের গর্জনে শামিল হতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। সকাল থেকেই জোর কদমে চলছে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ। শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে ব্লক ভিত্তিক জমায়েতে জোর দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এবারের একুশে জুলাই-এর কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গ থেকে বেশি সংখ্যায় কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোচবিহারের জয়ী সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া (Jagadish Chandra Barma Basunia) বলছেন অন্যান্যবারের থেকে এবার অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ পাহাড় থেকে আসবেন কলকাতায়। এদিন ভোরে উত্তরবঙ্গের একটি ট্রেন এসে পৌঁছেছে কলকাতা স্টেশনে। দুপুরে আরও একটি ট্রেন আসবে এবং রাতেও আরও একটি ট্রেন আসার কথা রয়েছে।সেই মোতাবেক কর্মীদের খাওয়া দাওয়া এবং তাদেরকে নির্দিষ্ট ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বন্দোবস্ত করা হয়েছে কলকাতা স্টেশনে। উত্তরবঙ্গের জেলা থেকে যারা আসছেন তাদেরকে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল পার্ক, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রেও ভিড় বাড়ছে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। ভিড় বাড়ছে হাওড়া স্টেশনে। শনিবার সকালে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন যেসব জায়গায় কর্মী সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে তা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী অরূপ রায়।