অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে বন্ধ ইন্টারনেট, ট্রেন; আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনা নামালো হাসিনা সরকার!

যত সময় যাচ্ছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পর এবার পড়শি রাষ্ট্রের ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। হিংসার আঁচ ছড়িয়ে পড়া রুখতে বন্ধ ইন্টারনেট। এর মাঝেই শুক্রবার রাতে কার্ফু জারির কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসিনা সরকার (Sheikh Hasina Government)।

কোটা সংরক্ষণ নিয়ে আন্দোলনের জেরে এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Violence in Bangladesh over demand of quota reformation) । বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে মোবাইল- ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজধানী ঢাকা-সহ সে দেশের বিভিন্ন শহরে এই সমস্যা রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর মিলেছে। মিছিল, সমাবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। রাজধানী ঢাকার (Dhaka) মধ্যে কোনও ট্রেন চলাচল করছে না।সরকারি সূত্রে খবর, আন্দোলনকারীরা যাতে ট্রেন পরিষেবা না পান, সে কারণেই এই ব্যবস্থা।বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরা এবং মেঘালয় দিয়ে শুধু শুক্রবারই ভারতে ফিরেছেন ৩০০-র বেশি পড়ুয়া। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে শুক্রবার রাত পর্যন্ত সংঘর্ষে জেরে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে সংবাদ সংস্থা এএফপি দাবি করেছে, এখনও পর্যন্ত সরকার এবং পড়ুয়াদের সংঘাতের জেরে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারি তরফে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তাই স্বভাবতই মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সরকার পক্ষ কথা বলতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠালেও তাঁরা মানতে চাননি বলেই দাবি। সূত্রের খবর নরসিংডি জেলার একটি জেলে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। জেল ভেঙে প্রায় শতাধিক বন্দি পালিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।শুক্রবারও ঢাকার উত্তরা, মহম্মদপুর, বাড্ডা-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পড়ুয়াদের বদলে জামাত এবং বিএনপি কর্মীরা মাঠে শাসক দল আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। আকাশে নজরদারির জন্য টহল দিয়েছে হেলিকপ্টারও। কিন্তু কোনভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এবার সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিল হাসিনা সরকার।


Previous articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleসুপ্রিম শর্ত মেনে আজই NEET UG -র ফলপ্রকাশ