নিজেদের টানেই একুশের সমাবেশ: চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে কর্মীদের বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর

রাতপোহালেই তৃণমূলের (TMC) ২১ জুলাইয়ের মেগা সমাবেশ। এখন চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। শনিবার সন্ধে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সি, মালা রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ তৃণমূলের প্রথমশ্রেণি নেতা-নেত্রীরা। ছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। মঞ্চের সামনে চেয়ারে বসেন তিনি। সেখানেই একে একে নেতারা এসে দলনেত্রীর সঙ্গ দেখা করে প্রণাম করেন। সকলের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু নোট লিখে দেন তৃণমূল সভানেত্রী। জানান, নিজেদের টানেই একুশের সমাবেশে আসেন কর্মীরা।লোকসভা ভোটে বিপুল সাফল্যে পরে একুশের সমাবেশ। তাই মেগা সমাবেশের প্রস্তুতি রয়েছে। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা (Mamata Banerjee) জানান, ”২১ জুলাই আমরা শহিদ স্মরণে বিভিন্ন গণ আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের আমরা শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করি। আর যত নির্বাচন হোক, তার পর আমরা এই দিনটাকে মা-মাটি-মানুষ দিবস হিসাবে বেছে নিই।  সবাই দূর দূর থেকে আসে। সবাইকে বলব, মাথা ঠান্ডা করে আসবেন। বাসে এলে আস্তে আস্তে চালাতে বলবেন, যাতে দুর্ঘটনা না হয়। রেলকে আমরা বলেছিলাম, ১৫ দিন আগে কোনওভাবে যাতে কোনও ট্রেন বাতিল না হয়। রেলে যাঁরা আসবেন, বাইরের দিকে কেউ মাথা ঝোঁকাবেন না। অনেকে এর আগে বাইরের পিলারে ধাক্কা খেয়ে মারা গিয়েছেন। আমরা চাই না এরকম হোক। এইটুকু বলে গেলাম। আমরা এখানে নেতা নয়, সবাই কর্মী।”

মমতা জানান, ”রবিবার আবহাওয়া একটু খারাপ হতে পারে। অখিলেশকে বলেছি, ও কাল আসবে। বুদ্ধিজীবীরা আসবেন। মনে রাখতে হবে, এটা কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। বাংলা মা- কে রক্ষা করার লড়াই এটা, বাংলার রক্ষার দেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সবাই আসবেন।”






Previous articleদাম বাড়াতে নতুন পন্থা! রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটে আলু ব্যবসায়ীরা
Next articleতৃণমূল কর্মী হওয়ায় ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য শংসাপত্র দেননি বিজেপি সাংসদ! পাশে দাঁড়ালেন কীর্তি