চড়া আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আরও একধাপ এগোল রাজ্য। দাম নিয়ন্ত্রিত রেখেই জোগান ঠিক রাখতে এবার হিমঘরের আলু বের করা শুরু হচ্ছে। বুধবার রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ধর্মঘট তুলে নিয়ে সিদ্ধান্ত আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরে কোনওরকম সমঝোতার পথে না গিয়েই আলুর জোগানের সমস্যা সমাধান হতে চলেছে বৃহস্পতিবার থেকে।

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বৈঠকের সময় আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি অভিযোগ করেন, অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত জিনিস মজুত করছেন। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ ও বিভিন্ন আনাজের ক্ষেত্রে রাজ্যের চাহিদা মেনে তবে বাইরের রাজ্য বা প্রতিবেশী বাংলাদেশে রফতানি করা যাবে, নির্দেশ দেন তিনি। সেই সঙ্গে বাজারে টাস্ক ফোর্সের অভিযান শুরু হয় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে। মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব করেন হিমঘর থেকে আলু বের করে বাজারে ছাড়ার জন্য। রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবে সম্মতিও দেওয়া হয়।
সেই মতো রাজ্যের সীমান্তে আলু রফতানি শক্তহাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদে সোমবার থেকে ধর্মঘটের পথে যান আলু ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। রাজ্যের কোনও সিদ্ধান্ত মানার পক্ষেই যেতে দেখা যায়নি সংগঠনগুলিকে। উপরন্তু সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলার জন্য কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানোর পথে যায় তাঁরা। তাতে রাজ্যের বাজারে আলুর দাম বেড়েও যায়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের স্বার্থান্বেষী অভিপ্রায়কে কোনও রকম প্রশ্রয় না দিয়ে সমস্যার কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণের। সেই মতো বুধবারই হুগলিতে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ব্য়বসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ধর্মঘট তুলে নেবেন ব্যবসায়ীরা। মন্ত্রী জানান, আজ থেকেই হিমঘর থেকে শুরু হবে আলু সরবরাহ। তার ফলে বাজারে জোগানের ঘাটতি স্বাভাবিক হবে। আলুর দামও কমবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এখনই বাইরে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
