সুপ্রিম নির্দেশ, পিছিয়ে গেল হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ

হাইকোর্টের কলেজিয়ামের পক্ষ থেকে তাঁদের স্থায়ীকরণের পক্ষে সম্মতি জানানো হয়। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া স্থায়ী পদে নিয়োগ সম্ভব নয়

কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতিদের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। তার সবথেকে বড় উদাহরণ বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে নিয়োগও স্থগিত হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মতামত না মেলায় প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই রাজ্যসভায় বিরোধী দলের সাংসদরা প্রাইভেট মেম্বার বিলের মাধ্যমে বিচারক ও বিচারপতিদের অবসরের পরে রাজনীতিতে যোগদানের বিরোধিতায় বিল আনেন। তার উদাহরণ হিসাবেও সবার আগে নাম আসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর এই পদক্ষেপ কার্যত বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতার উপরই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের নয়জন অস্থায়ী বিচারপতির স্থায়ীকরণের প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টে পেশ কার হয়। তাঁদের অস্থায়ী পদের মেয়াদ ৩১ অগস্ট শেষ হচ্ছে। হাইকোর্টের কলেজিয়ামের পক্ষ থেকে তাঁদের স্থায়ীকরণের পক্ষে সম্মতি জানানো হয়। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া স্থায়ী পদে নিয়োগ সম্ভব নয়। তাঁদের তরফে থেকে কোনও মতামত জানানো হয়নি। রাজ্যের তরফ থেকে বিচারপতিদের নিয়োগের আগে তাঁদের নিরপেক্ষতার দাবি আগে বারবার জানানো হয়েছে।

বর্তমানে অস্থায়ী পদে থাকা বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরী, বিচারপতি পার্থসারথি সেন, বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, বিচারপতি উদয় কুমার, বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্ত, বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য, বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির অস্থায়ী পদে মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।