Monday, November 10, 2025

নীতি আয়োগ তুলে ফিরিয়ে আনতে হবে প্ল্যানিং কমিশন: দিল্লিতে দাবি মমতার

Date:

মুখ দেখানো আর ছবি তোলা ছাড়া নীতি আয়োগের (NITI Aayog) কোনও কাজ নেই, দিল্লিতে বসে দাবি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে মোদি সরকারের ঘটা করে তৈরি করা কমিটিকে তুলে দিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তৈরি যোজনা কমিশনকে (Planning Commission) ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। দিল্লিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, প্ল্যানিং কমিশনের বৈঠকে একটা সুনির্দিষ্ট চিন্তাধারা কাজ করত, সকলের একটা ধ্যান-ধারণা ছিল। কিন্তু নীতি আয়োগে সেসবের কোনও বালাই নেই। তাই স্বাধীনতার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তৈরি প্ল্যানিং কমিশনকে অবিলম্বে ফেরানো দরকার।

শনিবার বিরোধী দল পরিচালিত সব রাজ্যের দাবির বিষয়েই নীতি আয়োগের বৈঠকে সরব হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি রওনা দেওয়ার আগেই সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি। বাজেটে যেভাবে বিরোধী রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার দাবিও দিল্লিতেই জানান মমতা। তিনি বলেন, বিজেপিকে ঠেকাতে আঞ্চলিক দলগুলিকে আরও বেশি করে উঠে আসতে হবে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, দেশে আগামী দিনে যেসব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) রয়েছে, সেসব জায়গায় বিরোধীরা ভাল ফল করবে। তিনি জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিয়ে তিনি যে খুবই চিন্তিত, সে-কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সময়ের অভাবে সশরীরে গিয়ে দেখা করতে না পারলেও ফোনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাবা-মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে এদিন স্পষ্ট বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, অনেকে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু আমি যা বলেছি, তাতে ভুল কিছু নেই। ইউএন (United Nations) রেজোলিউশন অনুযায়ী আমি কথা বলেছি। আমি মানবিকতার খাতিরেই ওই কথা বলেছি। কেউ যদি অসহায় হয়ে আশ্রয় চায়, আমি আশ্রয় দেব। ওরাও তো তিস্তা বৈঠকের সময় রাজ্যকে ডাকেনি। সিস্টেমটা আগে নিজেদের ভাল শেখা উচিত। আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কিছু বলিনি।

তবে বিজেপি যেভাবে বাংলাদেশ মন্তব্য নিয়ে বাংলাকে কোণঠাসা করতে চাইছে তাতে তারা সফল হবে না। এমনকি যেভাবে রাজ্যভাগের রাজনীতিতে বাংলাকে দুর্বল করতে চাইছে বিজেপি, তাও সফল হবে না, স্পষ্ট করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনও অবস্থাতেই বাংলা ভাগ হতে দেব না। কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও এদিন ফের সরব হয়েছেন তিনি। বলেন, বাংলা-সহ বিরোধী রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। একশো দিনের কাজের টাকা ও আবাসের টাকা কেন্দ্রের দেওয়ার কথা থাকলেও রাজ্য সরকারই দিয়েছে। কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়াই করবে, সাফ কথা নেত্রীর।

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...
Exit mobile version