স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয় পোর্টালে প্রথম পর্যায়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের ভর্তির হার অত্যন্ত কম। এরপরেই স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে প্রধান শিক্ষদের নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়েছে তাঁদের স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের প্রত্যেককে ফোন করে খোঁজ নিতে হবে তাঁরা কলেজে ভর্তি হয়েছে কিনা। যদি কেউ ভর্তি না হয়ে থাকে তাহলে তাঁকে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। কেন তাঁরা কলেজে ভর্তি হতে অনুৎসাহিত সেই কারণও অনুসন্ধান করতে হবে।

এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থ প্রতীম বৈদ্য জানান, তাঁদের স্কুল থেকে এবার ২৫৮ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। সকলকেই ফোন করে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। এদের অনেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছে। আবার অনেকে প্রযুক্তিগত বিষয়ে পড়াশোনা করছে। বাকিরা সবাই কলেজে ভর্তি হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে চেতলা গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সত্যবতী নাডকার জানান, এবার ৮৭ জন উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছিল এর মধ্যে ৭৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এই ৭৫ জনের মধ্যে বাকিরা কলেজে ভর্তি হলেও খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে ১৯ জন কোনও ভাবে কলেজে ভর্তি হয়নি। সেক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাড়ি গিয়ে কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারে এদের বেশিরভাগেরই আর্থিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা করতে চাইছেন না, কেউ বা স্থানীয় স্তরে কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। আবার কেউ কেউ নার্সিং বা প্যারা মেডিক্যাল পড়ার জন্য ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। কারোর আবার হয়তো বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় রাউন্ডের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ৮ অগাস্ট থেকে। আবেদনের জন্য কোনও টাকা লাগবে না, উচ্চ মাধ্যমিকের পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইলে মেসেজ করেও জানানো যেতে পারে।


আরও পড়ুন- ফের যাত্রী দুর্ভোগ! গাছের ডাল ভেঙে হাওড়া-আমতা শাখায় দুঘণ্টা বন্ধ ট্রেন চলাচল
