পাঁচ বছরের স্কুল পড়ুয়া বন্দুক নিয়ে স্কুলে এলো। ব্যাগ থেকে সেই বন্দুক বের করে গুলিও চালালো! আশ্চর্য লাগলেও বুধবার এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য বিহারের সুপল জেলায়। গুলিবিদ্ধ স্কুলের এক নাবালককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। যদিও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তবে অপরাধ প্রবণতা ডবল ইঞ্জিন বিহারে কতটা বেড়ে গিয়েছে তার প্রমাণ পাঁচ বছরের ছেলের হাতে বন্দুক।

সুপল জেলার সেন্ট জন বোর্ডিং স্কুলের নার্সারির এক পড়ুয়া স্কুলব্যাগের মধ্যেই একটি বন্দুক নিয়ে স্কুলে যায়। এরপর ব্যাগ থেকে বের করে গুলিও চালায়। তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের হাতে সেই গুলি লাগে। আহত ওই খুদে পড়ুয়ার দাবি, সে যখন নিজের ক্লাসে যাচ্ছিল সেই সময়ই অভিযুক্ত নার্সারির পড়ুয়া হঠাৎ তার দিকে বন্দুক তাক করে। অথচ ওই পড়ুয়ার সঙ্গে তার কোনও ঝগড়া ছিল না। বন্দুক তুলতে দেখলে সে বাধা দিতে যায়। তখনই পাঁচ বছরের শিশুটি তার হাতে গুলি চালায়।

এই ঘটনার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে অভিভাবকরা। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তাঁদের দাবি, কীভাবে একটি পড়ুয়া স্কুলে বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ালো অথচ কারো চোখে পড়ল না। পুলিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অন্যদিকে অভিযুক্ত পড়ুয়া ও তার পরিবার পলাতক। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে ত্রিবেণিগঞ্জ থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে বাবার বন্দুক নিয়ে স্কুলে এসেছিল ওই শিশুটি।
