সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জের। জামাত-ই ইসলামি, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির-সহ তাদের শাখা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Government)। বৃহস্পতিবার, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানায় সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে ২০০-র বেশি মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। ছাত্রদের সামনে রেখে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি অশান্তি ছড়িয়ে বলে আগেই অভিযোগ করে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Government)। বিএনপি এবং জামাত-ই-ইসলামির ইন্ধনের অভিযোগ তোলে শেখ হাসিনা (Shekh Hasina) সরকার ও তাঁর দল আওয়ামি লিগ। এর পরেই এদিন নিষিদ্ধ করার জামাত-ই ইসলামি, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি করা হল।
২০১৩ সালে আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন জামাতকে বাতিল করে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Suparna Court) আপিল করে জামাত। ২০২৩-এর ১৯ নভেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। সেই সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। এবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামাত-ই ইসলামি, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য শাখা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে-
“এস.আর.ও নং ২৮১-আইন/২০২৪।– যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত
ICT-BD Case No. 06 of 2011, ICT-BD Case No.02 of 2012, ICT-BD Case No.
03 of 2012-সহ কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই- ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হইয়াছে; এবং
যেহেতু, বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নং-৬৩০/২০০৯-এ ০১/০৮/২০১৩ তারিখের প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত/প্রাপ্ত নিবন্ধন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়কে বহাল রাখিয়াছে; এবং
যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল; এবং
যেহেতু, সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে;
সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিল।
২। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।“