তাজপুরে সমুদ্রপাড়ে বনদফতরের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান-ঘর তৈরিতে বাধা দিয়ে কারামন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির (Akhil Giri) হুমকির মুখে পড়েন বনদফতরের আধিকারিক মনীষা সাউ (Manisha Sahu)। এই ঘটনায় মন্ত্রীর আচরণের তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি স্পষ্ট জানান, এই ব্যবহার দল অনুমোদন করে না। অখিল গিরির কোনও সমস্যা থাকলে উনি বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে ফোন করে কথা বলতে পারতেন। তবে, এই বিষয় নিয়ে বাম-বিজেপির সমালোচনার মুখ নেই বলেও মন্তব্য করেন কুণাল।
এই ঘটনার পরেই তীব্র নিন্দা করে নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি লেখেন, “মন্ত্রী অখিল গিরির কথা এবং আচরণের বিরোধিতা করছি। এটা অবাঞ্ছিত।
বনদপ্তর নিয়ে কিছু বলার থাকলে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বলতে পারতেন। তার বদলে মহিলা অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার দুর্ভাগ্যজনক।
তবে সিপিএম, বিজেপির এনিয়ে বলার অধিকার নেই। ওরা এর থেকেও অনেক কুৎসিত কাজ বারবার করেছে।“
মন্ত্রী অখিল গিরির কথা এবং আচরণের বিরোধিতা করছি। এটা অবাঞ্ছিত।
বনদপ্তর নিয়ে কিছু বলার থাকলে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বলতে পারতেন। তার বদলে মহিলা অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার দুর্ভাগ্যজনক।
তবে সিপিএম, বিজেপির এনিয়ে বলার অধিকার নেই। ওরা এর থেকেও অনেক কুৎসিত কাজ বারবার করেছে।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 3, 2024
এরপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল সাফ জানান, কোনও অবস্থাতেই এই মন্তব্য, শরীরীভাষার অনুমোদত দল করে না। অখিল গিরির এই মন্তব্য তীব্র প্রতিবাদ করছি।
এটি ভর্ৎসনা যোগ্য। একজন মহিলা আধিকারিককে ওই ভাষায় কথা বলে একেবারেই ঠিক করেননি তিনি।
কুণাল জানান, ওখানে বনদফতরের জমিতে দোকান ও কাঠমো ছিল। বনদফতর বলার পরেও সরানো হয়নি। ঝড়-বৃষ্টিতে যেগুলি ভেঙে গেলে, স্থানীয়রা আবার নির্মাণ করতে যান। বনদফতরের আধিকারিক সেটা বাধা দিতে গিয়েছিলেন। একজন মহিলা সরকারি আধিকারিককে ওই ভাষায়, ওই বডি ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলা মোটেই উচিত হয়নি। এটা এককথায় নিন্দনীয় বলে মত তৃণমূল নেতার। তিনি বলেন, কারামন্ত্রীর যদি বনদফতের কাজ নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকে, তিনি সেটা তাঁর বিধানসভার সতীর্থ বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে জানতে পারতেন। কিন্তু মহিলা সরকারি অফিসারের সঙ্গে যে ভাষায় কারামন্ত্রী কথা বলেছেন তার তীব্র নিন্দা করছি। নিশ্চিতভাবে অখিল গিরির উচিত দুঃখপ্রকাশ করা ও ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন কুণাল। তিনি জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নজর রেখেছেন।
তবে, এই ঘটনা নিয়ে CPIM বা BJP-র সমালোচনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, এই নিয়ে ওদের বলা কোনও মুখ নেই। বাম জমানায় খুনের মামলায় অভিযুক্তও নাম পরিবর্তন করে বিধানসভায় ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছেলে আকাশ পুরসভার আধিকারিককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে ছিলেন। সেই ঘটনায় কী তাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু আমরা তৃণমূল। আমরা খারাপটাকে খারাপ বলি। সেই কারণে ওরা যেন চুপ থাকেন।
যাঁকে সেই এই ঘটনা কাঁথির সেই রেঞ্জার মনীষা সাউ বলেন, “অবৈধভাবে দোকান বসেছিল। তাদের বাধা দেওয়া হয়।” তবে মন্ত্রীর হুমকি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।