কালনা থেকে কঙ্কালীতলা, জলে ডুবেছে মন্দির! চেনা জলযন্ত্রণার ছবি ভ্যানিশ উত্তর কলকাতায়

প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেরে যখন জেলায় জেলায় জল থৈথৈ অবস্থা ঠিক তখনই একদম বিপরীত ছবি উত্তর কলকাতায় (North Kolkata)। সাধারণত বর্ষাকাল মানেই ঠনঠনিয়া কালী বাড়ি থেকে কলেজ স্ট্রিট চত্বর হাঁটু জলে ডুবে যায়। ভাসতে থাকে মানিকতলা বা আমহার্ট স্ট্রিট। কিন্তু এবছর যখন অতিবৃষ্টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, তখন ভিন্ন ধরনের উত্তর কলকাতার ছবি ধরা পড়ল ক্যামেরায়। দুদিনের বৃষ্টিতে ঠনঠনিয়া (Thanthania), কলেজ স্ট্রিট(College Street), মানিকতলার মতো এলাকায় জল জমলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শনিবার সকালে বৃষ্টির পরিমাণ কমায় সকাল থেকেই তৎপর পুরসভার কর্মীরা। ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে দেওয়া থেকে প্লাস্টিক সরিয়ে নর্দমার নিকাশি ব্যবস্থাকে সচল রাখার চেষ্টা চলছে।

নিম্নচাপে জেরে শ্রাবনের স্বমহিমায় সমস্যা বেড়েছে দক্ষিণ কলকাতায়। উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন। ই এম বাইপাস, এয়ারপোর্ট চত্বর, কৈখালী , চিনার পার্ক, ভিআইপি রোডেও জল জমেছে। বিমানবন্দরের পার্কিং ডে জলমগ্ন কিন্তু জল না জমায় স্লাইড ওঠানামায় কোন সমস্যা হচ্ছে না। একাধিক এলাকা জলমগ্ন হওয়ার সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। জলমগ্ন পাতিপুকুর আন্ডারপাস। একাধিক রুটে যান চলাচল ব্যাহত। গভীর নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টি চলছে রাজ্যের প্রায় সব জেলায়। ভেসে গিয়েছে একাধিক সেতু। আসানসোলে জলের তোড়ে ভেসে গেছে গাড়ি, মৃত এক। কালনার প্রাচীন লালজি মন্দির (Lalji Temple) সম্পূর্ণ জলমগ্ন। বন্ধ হয়ে গেছে পুজো। নিকাশি ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বোলপুরের সতীপীঠ কঙ্কালীতলাতেও (Kankalitala) গত দুদিন ধরে জলের তলায় মন্দিরের গর্ভগৃহ। আজ সকালে জল সামান্য নামলে নিত্য পুজো শুরু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। অন্যদিকে আজ সকাল ১০ টা পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার খবর মিলেছে। পাঞ্চেত এবং মাইথন থেকে ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।