অশান্তি থামিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের। সেই সঙ্গে দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা করে সব হত্যার বিচারের সব দায়িত্ব নেন সেনাপ্রধান। অতয়েব দেশের ছাত্র সমাজকে সংঘর্ষের পথে থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান তিনি। নাগরিকদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়ার পরই নতুন সরকার গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানান। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে গুলি চালানো থেকে বিরত থাকার সাফ নির্দেশ দেন।

হাসিনা সরকারের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে এপর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে দাবি। তারই মধ্যে সোমবারই পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা, জানান সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তার আগেই দেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও নিষিদ্ধ জামায়ত ইসলামকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সেনা প্রধান। বৈঠক শেষে তিনি জানান, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বৈঠক হয়েছে। এবং বৈঠকের ফলাফলও খুবই ইতিবাচক। সেই সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, যাঁকে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার মধ্যস্থতাকারী বলে দাবি করেন সেনাপ্রধান।
দেশের উদ্দেশে ভাষণে সেনাপ্রধান জানান, দেশবাসীর দাবি সেনা পূরণ করবে ও দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি অনুরোধ জানান, হত্যা, মারামারি, সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকতে। সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার আবেদন জানান। তিনি বলেন, “সংঘাতের মাধ্যমে আর কিছু পাবো না। দয়াকরে আপনারা সমস্ত ধ্বংসযজ্ঞ, অরাজকতা, সংঘর্ষ থেকে বিরত হন। সবাই মিলে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হব।”

সেই সঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, প্রতিটি হত্যা, প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে কোনও গুলি চলবে না বলেও দাবি করেন তিনি। বৈঠকের শেষেই দ্রুত রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের উদ্দেশে গিয়ে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলেও জানান তিনি। তবে সবকিছু ঊর্ধ্বে সংঘাত থামিয়ে সেনাবাহিনীর উপরে আস্থা রাখার বার্তা দেন তিনি।
