Thursday, August 28, 2025

রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ আরও ভালোভাবে পৌঁছে দিতে প্রায় দেড় হাজার বাংলা সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করার সিদ্ধান্ত রাজ্যের। বর্তমানে রাজ্যে ৩৫৬১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকারের ৪০টি দফতরের ২৯২টি পরিষেবার সুযোগ মেলে।এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৭ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে পরিষেবা পেয়েছেন। নতুন করে আরও ১৪৩১টি নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে বলে নবান্নে সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে ৪ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যাবে। ইতিমধ্যেই নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে জেলা প্রশাসনগুলিকে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ন্যূনতম যেসব সরঞ্জাম দরকার, সেসব আগেই পৌঁছে গিয়েছিল জেলায় জেলায়। এবার সেগুলি ঠিকমতো সাজিয়ে গুছিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় এই কেন্দ্র চালু করে দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি পুরসভার সম্পত্তি করও বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে জমা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে এবার থেকে পুরসভায় গিয়ে লাইন দিয়ে এই কাজ আর করতে হচ্ছে না পুর এলাকার বাসিন্দাদের। পরিবর্তে তাদের ভিড় বাড়বে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে। এই বাড়তি চাপ এবং আগামী দিনের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার নতুন করে ১৪৩১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোন জেলায় কতগুলি নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে, সেই তালিকাও প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫৯টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হবে। এটাই রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ১০০’র বেশি নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫০ কোটির বেশি টাকা।

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version