প্রায় দু-মাস আগে বাংলাদেশে (Bangladesh) শুরু হয়েছিল সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন। ধীরে ধীরে সেটি শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে চেহারা নেয়। বিক্ষোভে জ্বলছে গোটা দেশ। পদ ছেড়ে দেশে থেকে চলে এসেছেন আওয়ামী লিগের নেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheik Hasina)। এমনই পরিস্থিতিতে নাম উঠে আসছে, ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলামের। কে তিনি? তিনি কি সত্যিই পড়ুয়া?
আন্দোলন চলাকালীন নাহিদকে ২বার অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। ১৯ জুলাই সবুজবাগ এলাকার একটি বাড়ি থেকে অন্তত ২৫ জন তাঁকে অপহরণ করেন। অভিযোগ, চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে, তাঁকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দু’দিন পর পূর্বাচল এলাকায় অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায় নাহিদকে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে সূত্রের খবর। এরপরে ২৬ জুলাই ফের তাঁকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা অপহরণ করে।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরে সোমবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন নাহিদ। ছাত্রদের তরফে কোনও ধরনের সরকারকে সমর্থন না করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করব। সেখানে অভ্যুত্থানকারীদের অংশ থাকবে এবং সমাজের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।“ সেনা সমর্থিত সরকার বা রাষ্ট্রপতি শাসন- ছাত্ররা মেনে নেবে না হলেই জানান নাহিদ।