সোমবারের পর থেকে কার্যত বাংলাদেশের পুরোনো সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা থেকে প্রশাসন, অর্থনৈতিক স্তরেও আওয়ামি লীগকে মুছে ফেলার পথে দেশের নতুন শাসকরা। ইতিমধ্যেই লীগের নেতা মন্ত্রীরা হয় দেশছাড়া না হলে খুন হচ্ছেন। অনেকেই গোপণ ডেরায় আস্তানা গেড়েছেন। প্রায় একই অবস্থা আওয়ামি লীগের আমলে পুলিশ থেকে অন্যান্য শীর্ষ পদে যাঁরা ছিলেন, সব পদেই রদবদল ছিল সময়ের অপেক্ষা। মঙ্গলবার থেকে সেই প্রক্রিয়াও প্রায় সেরে ফেলল সেনা প্রশাসন।

অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠনের আগেই দেশের অর্থনীতির অন্য়তম স্তম্ভ বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে দেখা গেল নজিরবিহীন অরাজকতা। সোমবার থেকেই নিরুদ্দেশ ছিলেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। পরে জানানো হয় তিনি ছুটিতে রয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন দুই ডেপুটি গভর্নর। বুধবার তাঁদের পদত্যাগের জন্য বাধ্য করেন ব্যাঙ্কেরই কর্মচারীরা। চাপের মুখে তাঁরা পদত্যাগ করেন। যদিও ব্যাঙ্কের মুখপাত্রের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে না।
ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ ও ব়্যাবের প্রধানদের। মঙ্গলবার দেশের দিকে দিকে নির্বিচারে পুলিশ কর্মীদের হত্যার পরে অন্তরাল থেকে বার্তা দিয়েছিলেন সদ্য প্রাক্তন পুলিশের আইজি আবদুল্লা আল মামুন চৌধুরি। তিনি পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলেন। তবে রাতারাতি তাঁকে সরিয়ে দিয়ে আইজিপির পদে আনা হল মহম্মদ ময়নুল ইসলামকে। মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। অন্যদিকে ব়্যাপিড অ্যাকশন বাংলাদেশের ডিরেক্টরের পদে নিয়ে আসা হল শহিদুর রহমান।
