নিজের রাজ্যে ফিরে এলেন ঋদ্ধিমান সাহা। বলা ভাল বাংলায় ফিরলেন বাংলার পাপালি। সিএবি-র এক কর্তার সঙ্গে ঝামেলার জেরে দু’বছর আগে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। চল্লিশের দরজায় দাঁড়িয়ে বঙ্গ-এ ফের প্রত্যাবর্তন। ঋদ্ধিমান সাহা বললেন, যতক্ষণ খিদে আছে ততক্ষণ খেলব। একশোভাগের বেশি দেব। আগে কী হয়েছে, পরে কী হবে আমি ভাবি না।

ঋদ্ধি যে আবার বাংলায় ফিরছেন, আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সোমবার সিএবি সচিব ও সভাপতিকে দু’পাশে রেখে সেই ঘোষণাই করলেন জাতীয় দলে খেলা উইকেটকিপার-ব্যাটার। বললেন, বয়স ম্যানেজ করতে হবে। সেভাবেই প্র্যাকটিস করব। বাংলার ক্রিকেট আমাকে অনেক দিয়েছে। এবার ফিরিয়ে দিতে চাই।
মনোজ তিওয়ারির অবসর ও ঋদ্ধির এই ফিরে আসা বাংলার ক্রিকেটের কাছে যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সেটা সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের কথাতেও পরিষ্কার। তিনি বললেন, তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে আমাদের দল। মনোজ গেল, ঋদ্ধি এল। আমাদের অভিজ্ঞতার দরকার ছিল। অনুষ্টুপ, সুদীপের পাশে ঋদ্ধি। প্রচুর অভিজ্ঞতা ওর। কাল, বুধবার প্রাক মরশুম প্রস্তুতিতে দুবরাজপুরে দু’সপ্তাহের ক্যাম্প করতে যাবে বাংলা। ওখানে লাল মাটিতে বর্ষা খুব একটা বাধা হবে না। ঋদ্ধি দলের সঙ্গে যাচ্ছেন।


ঋদ্ধি এদিন আরও বলছিলেন, কেন বাংলা ছেড়েছিলেন, তা নিয়ে এখন ভাবতে চান না। কারণ, তিনি পুরনো কথা টেনে আনতে চান না। তাঁর সামনে ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএল। বাংলার হয়ে তিন ফর্ম্যাটেই খেলতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবে দল। তিনি খেললে অভিষেক পোড়েলের মতো উঠতি কিপারের কী হবে? জবাব এল, আমার আর কিছু পাওয়ার নেই। অভিষেকের আছে। তাই কিপিং না করেও আমি দলে থাকতে পারি।

বঙ্গ ক্রিকেটে ফিরে ঋদ্ধির বক্তব্য, যেখানে শুরু করেছিলাম, সেখানে এলাম। মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি। রঞ্জির প্রথম ম্যাচের আগে দু’মাস সময় আছে। আর বাংলা যথেষ্ট ভাল খেলছে। তিন-চার বছরে দুটো রঞ্জি ফাইনাল। ব্যাটাররা মরশুমে ৭০০-৮০০ রান করছে। বোলাররা উইকেট নিচ্ছে। ফিল্ডিংয়ে আর একটু ভাল করলেই হল। ঋদ্ধি নিজে আপাতত বর্তমানকেই দেখছেন। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা জিনিস ভেবে রেখেছেন, যখন খেলা ছাড়বেন, তখন সব খেলা একসঙ্গে ছেড়ে দেবেন।


আরও পড়ুন- অলিম্পিক্সে লক্ষ্যের পারফরম্যান্সে হতাশ গাভাস্কর, খুললেন মুখ
