আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তের দায়িত্বভার নিয়েছে সিবিআই। পুলিশের তরফে আজ, বুধবার সকালেই একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। তারই মাঝে বাড়ল রহস্য! সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য!

জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত ক্লাস হয় ওই অভিশপ্ত সেমিনার রুমে। তারপর তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই চাবি সিস্টার ইনচার্জকে দিয়ে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু চাবি কে নিয়েছিল, তা এখন বলতে পারছেন না সিস্টার ইনচার্জ! এমনটাই জানিয়েছেন, আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, রাতে কেউ তালা খুলে সেমিনার রুমে থাকেন কি না সেটা তিনি ঠিক জানেন না। ওই ঘটনার কথা তিনি পরেরদিন অর্থাৎ, শুক্রবার সকাল ৯টা ৩৫মিনিট নাগাদ জানতে পারেন। এসে দেহ দেখে চমকে উঠেছিলেন।

অন্যদিকে নার্সিং সুপার কৃষ্ণা সাহা জানান, চাবি একটা বাক্সে রেখে দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা সেটা ব্যবহারের জন্য নিয়ে যান। ওই দিন কেউ চাবি নিয়েছিল কি না, সেটা তিনি জানেন না। ওই দিন ৪ জন নার্স ওই বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন। পুলিশ তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার দিন রাতে চাবি কে নিল? সেমিনার রুমের তালাই বা খুলল কে? ফলে বলতেই হচ্ছে, “সামথিঙ্ক ইজ মিসিং”!

আরও পড়ুন:আর জি কর-কাণ্ডের জের: দিল্লিতে ফোর্ডার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর
