এই প্রথম রেড রোডের কুচকাওয়াজে পা মেলালেন উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকরা

এবারের অন্যতম সংযোজন বনসৃজনের উপর বিশেষ ওয়াক পাস্ট। ছিল আদিবাসী নৃত্য।

কলকাতার রেড রোডে আজ, বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অখণ্ড ও ঐক্যবদ্ধ বাংলার ছবি তুলে ধরল রাজ্য সরকার। যার অঙ্গ হিসেবে এই প্রথম কুচকাওয়াজে পা মেলালেন উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকরা। সেখানকার ৫০টি চা বাগানের শ’খানেক চা-শ্রমিক যোগ দেন এদিনের অনুষ্ঠানে।‌ ছিলেন উত্তরবঙ্গের লোকশিল্পীরা এবং সেখানকার বিভিন্ন জনজাতির মানুষও।

উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকদের কুচকাওয়াজে সামিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতি বছরের মতো এ বারও স্বাধীনতা দিবসে নাশকতা ঠেকাতে রেড রোড ও তার আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে পাঁচ হাজার পুলিশ।
স্বাধীনতা দিবসে কলকাতার পুলিশ মেমরিয়ালে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর রেড রোডের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব,কলকাতা পুলিশ কমিশনার সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
প্রতি বছরই রাজ্যের পুলিশকর্তাদের বিশেষ ভাবে সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রেড রোডে চলছে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। অংশ নিয়েছেন স্কুলের ছাত্রছাত্রীর। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখলেন, “আমার ভাই-বোনেদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। দেশকে স্বাধীন করতে আমাদের বিপ্লবীরা আত্মত্যাহগ করেছিলেন। এমন পুণ্যতিথিতে সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।”

এবার রেড রোডে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘অবিভক্ত বাংলা’র বার্তা ছড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হল ‘অবিভক্ত বাংলা’র বার্তা। এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নেন সকল শ্রেণির শ্রমজীবী মানুষ। আছেন পাহাড় ও উত্তরবঙ্গের চা বাগানের শ্রমিক, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের শ্রমিক, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, চিকিৎসক, নার্স আইনজীবী।

সবমিলিয়ে রাজ্যের সব শ্রেণিকে একত্র করে অখণ্ড বাংলার পরিপূর্ণ চিত্র তুলে ধরা হল বিশ্বের সামনে । সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন পুষ্পবৃষ্টি করল জাতীয় পতাকা বহনকারী দু’টি হেলিকপ্টার। কুচকাওয়াজের শুরুতে ছিল প্যারেড কমান্ডার্স জিপ। তারপর একে একে ছিল সেনা, পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট, একতার বার্তা নিয়ে সম্প্রতি মিছিল, জয় হিন্দ বাহিনী ও একাধিক স্কুলের পড়ুয়া। যোগ দেন খেলার জগতের বিশিষ্টরা। তুলে ধরা হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাংলার শাড়ি, সবুজ সাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সহ রাজ্যের একাধিক প্রকল্প। এবারের অন্যতম সংযোজন বনসৃজনের উপর বিশেষ ওয়াক পাস্ট। ছিল আদিবাসী নৃত্য।
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। সে কারণে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দুর্গামূর্তি নিয়ে ওয়াক পাস্ট হল।‌ সবমিলিয়ে রেড রোডে এবারের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল জমজমাট।

Â