‘নির্যাতিতার পরিবারের পাশেই থেকেছে সরকার’: আরজি কর-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা মহুয়ার

‘‘রাজ্য সরকার সবসময় পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। সরকার বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কিছু গোপন করার চেষ্টা করছেন বলে যে তত্ত্ব উঠে আসছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।” আর জি কর (R G Kar) হাসপাতালে বুধবার রাতে তাণ্ডবের ঘটনায় সাফ বার্তা তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)। বুধবার ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচির সমর্থনে কলকাতা তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে আর জি কর। হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও বার্তা মহুয়ার।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে মহুয়া বলেন, আর‌ জি করের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ন্যায্য। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন রাজ্য সরকার সবসময় নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। তবে এদিন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া তাঁর ভিডিয়োয় কারও নাম না করলেও আর জি করের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভূমিকা নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তোলাকে নায্য বলেই মনে করছেন‌। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “রাস্তায় যে প্রতিবাদ চলছে, তা আমরা বুঝি। এই ভয়, এই নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা পুরোটাই সত্যি। এটা আমার সঙ্গেও হতে পারে, আপনার সঙ্গেও হতে পারে, যে কারও সঙ্গে হতে পারে। অন্তত কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাটুকু আমরা আশা করতে পারি। যাঁরা নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা সবসময় আছি।”

মূলত আর জি করে ঠিক কী কী হয়েছে, তা ভিডিয়ো বার্তায় তুলে ধরেছেন মহুয়া। তিনি জানান, যখন আরজি করের ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে ছিলেন। খবর পেয়েই তিনি মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখাও করেন। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করেছিল মূল অভিযুক্তকে। তবে এদিনের ভিডিও বার্তায় ভিডিয়ো বার্তায় মহুয়া স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, বাংলার মহিলাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্টে দেশের মধ্যে কলকাতা যে সবচেয়ে ‘সুরক্ষিত শহর’, সে কথাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। পাশাপাশি পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে মহুয়ার আরও বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং মৃতার পরিবারকে বলেছিলেন, তাঁরা পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে। এখন হাই কোর্ট তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ সিবিআইকে সবরকম সাহায্য করছে। পুলিশ কোনও তথ্য গোপন করেনি।”