আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) চিকিৎসক তরুনীর মৃত্যুর তদন্তে কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ডাঃ সুহৃতা পালকে (Suhrita Pal) তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ না করেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? বৃহস্পতিবার রাতে এই প্রশ্নই তুললেন কর্মবিরতিতে যাওয়া জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাত ১১টা ৭ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষ। সূত্রের খবর, সদর দফতরের সামনেই ছিলেন এক আধিকারিক। তাঁর হাতে কিছু নথিপত্র দিয়ে তৎক্ষণাৎ ফিরে যান সুহৃতা। এই খবর পৌঁছানো মাত্রই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।

ট্রেনি ডাক্তারের মৃত্যুর তদন্তভার গ্রহণ করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্য পুলিশ ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনদিন কেটে গেলেও সিবিআই কিছুই করে উঠতে পারেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নার্সিং স্টাফ এবং আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তাররা।সন্ধের দিকে হাসপাতালে পৌঁছয় সিবিআই। প্রিন্সিপালের ঘরে পৌঁছন আধিকারিকরা। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। আন্দোলনকারীদের দাবি রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টায় প্রিন্সিপালকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় নথি হস্তান্তর করেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই CGO থেকে চলে যান ডাঃ সুহৃতা পাল। এরপরই সিবিআই-এর (CBI) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তাঁদের বিভ্রান্ত করেছেন বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের।

