আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) দুষ্কৃতী তান্ডবের প্রতিবাদে এবং নির্যাতিতা তরুণীর দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিরোধীদল গুলির পক্ষ থেকে আজ রাজ্য জুড়ে কোথাও বনধ, ধিক্কার দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে । স্বাধীনতা দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন এ রাজ্যে বনধ হয় না। এই ধরনের জনবিরোধী চক্রান্ত কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। কর্মসংস্কৃতি সচল রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নেবে সরকার। সেই মতো আজ সকাল থেকেই সরকারি যানবাহন পরিষেবা সচল রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতোই শহরের বিভিন্ন দোকান বাজার খুলেছে।

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করেছে। প্রথম দিন থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অপরাধীর ফাঁসির দাবি করেছেন। এরপরেও ঘোলা জলে বিরোধীদের রাজনীতি চলছে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামছেন সেখানে ধর্মঘট, বনধের নামে একটা কাজের দিন নষ্ট করে সাধারণ মানুষের রুজি রুটির উপর আঘাত হানা ভাল চোখে দেখছেন না বাংলার মানুষ। প্রাথমিকভাবে SUCI এর তরফে এই বনধ ডাকা হলেও পরবর্তীতে রাজ্যকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চক্রান্তে শামিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP)। SUCI কর্মী সমর্থকরা উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় যান চলাচল আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। যদিও সাধারণ মানুষ যে এই সংস্কৃতি পছন্দ করেন না তা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছবিতেই বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

