বাংলায় বনধ হয়না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবিকেই মান্যতা দিল সাধারণ মানুষ। আরজি কর কাণ্ডে ঘোলা জলে রাজনীতি করতে ময়দানে বাংলা বিরোধীরা। ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকে জনজীবন বিঘ্নিত করার চেষ্টা SUCI -এর। ধর্মঘটের সমর্থনে এসইউসিআই কর্মী সমর্থকরা সকাল থেকে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, নন্দীগ্রাম, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি তৈরি চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষ এই চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছেন। জেলা থেকে রাজ্য সর্বত্রই গণপরিবহন ব্যবস্থা সচল রয়েছে। অশান্তি পাকানোর অভিযোগে ইতিমধ্যে ৪৩ জন SUCI কর্মী সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। এদিন সকাল সাড়ে দশটার কিছু সময় পরে আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাজরা মোড়। পথ অবরোধ করে পরিবহন ব্যবস্থাকে অচল করার চেষ্টা করেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। পুলিশ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের উপর চড়াও হবার অভিযোগ উঠেছে SUCI কর্মীদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ।

আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে এসইউসিআই-এর ডাকা বন্ধে সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা ট্রেন চলাচল। ডায়মন্ড হারবার শাখায় ধামুয়া স্টেশনের আগে রেল লাইনের উপর বসে পড়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ধর্মঘটীরা। লক্ষীকান্তপুরের রেল লাইনে কলাপাতা ফেলে চলে বিক্ষোভ। জয়নগর, মথুরাপুর, কুলপি, মগরাহাটে জোর করে পথ অবরুদ্ধ করার চেষ্টা হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের তুলে দেয় পুলিশ। কোচবিহার- রায়গঞ্জ -বালুরঘাটে রাস্তা আটকে মিছিলের নামে গন্ডগোলের চেষ্টা SUCI কর্মীদের। পুলিশ বাধা দিতে গেলে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বনধ সমর্থকরা। কলকাতা সহ শহরতলিতে বনধের কোনও প্রভাব নেই। স্কুল কলেজ দোকান বাজার খোলা রয়েছে । রাস্তায় পর্যাপ্ত সরকারি বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি রয়েছে। হাওড়া শাখায় ট্রেন লাইনে কোথাও কোনও অবরোধ নেই।
