অন্য কোথাও খুন করে সেমিনার রুমে রাখা হয়েছিল! বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শহর, রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে উত্তাল গোটা দেশ। দেশের বেড়াজাল টপকে এই ঘটনার রেশ পড়েছে ভিনদেশেও। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের আগে টানা ৩৬ ঘণ্টা রোগী পরিষেবা দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। শুরু থেকেই নিহত ছাত্রীর বাবা-মা তাঁদের মেয়ের ওপর অমানুষিক কাজ করানোর চাপের অভিযোগ তুলেছেন।

ফের এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা। মৃতার বাবার দাবি, যে সেমিরার রুম থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, সেখানে হয়তো আদৌ তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়নি, অন্য কোনও ঘরে খুন করে তারপর ওই রুমে আনা হয়েছে।

মৃতার পরিবারের সন্দেহ, হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট পুরোটাই এই ঘটনার জন্য দায়ী। অনেক বড় চক্র এর সঙ্গে জড়িত। নির্যাতিতার বাবা আরও গুরুতর অভিযোগ তুলে বলছেন, “মেয়ে সিনিয়র ডাক্তারদের থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেত না, যা তার পেশাগত জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করেছিল।” তাঁর আরও অভিযো, পাঁচজনের ডিউটিতে চারজন পুরুষের সঙ্গে তাঁদের মেয়েকে একা রাখা হত, যা তাঁদের সন্তানের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আগেই নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যেতে মেয়ের ভালো লাগত না এবং কাজ ঠিকমতো করতে পারছিল না। তিনি আরও জানান, মেয়ে প্রায়ই বলত, ”আমার আর জি করে (RG Kar Hospital) যেতে এখন আর ভাল লাগে না।”

আরও পড়ুন:আর জি করে তাণ্ডবের জের! মীনাক্ষি-সহ ৭ জনকে তলব লালবাজারের