বিশ্বভারতীতে শারীরিক নির্যাতন গবেষণা ছাত্রীকে, আদালতের নোটিশ

তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেননি। আদালত থেকেও বিশ্বভারতীকে নোটিশ জারি করা হয়। তারপরেও নীরব থাকে বিশ্বভারতী

আগেও একাধিক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে হয়রান হতে হয়েছে বিশ্বভারতীর ছাত্রীদের। হয়রান হয়েছেন ছাত্ররাও। এবার গবেষণায় শারীরিক ও মানসিক বাধা পেয়ে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে হল গবেষণার ছাত্রীকে। তারপরেও কোনও বিচার পাননি ছাত্রী। শেষে অনশন শুরু করার পরে ছাত্রীর অভিযোগ নিয়ে তৎপর হল বিশ্বভারতী।

নৃতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা পডু়য়া এক ছাত্রীর অভিযোগ অধ্যাপক কয়েক বছর ধরে গবেষণাপত্র আটকে রেখেছেন। অধ্য়াপকের ‘কথা না শোনায়’ শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়। এমনকি ফেলোশিপের ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকাও আটকে রাখেন ওই অধ্যাপক। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনও পদক্ষেপ নেননি কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সাল থেকে গবেষণা শুরু করা ওই ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৯ অগাস্ট, ২০২৪। এই দিন পেরিয়ে গেলে তাঁর ছয় বছরের পরিশ্রম পুরোটাই জলে যাবে।

এই পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া তাঁর আর উপায় ছিল না। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার আগে প্রিসাবমিশন রিপোর্ট অভিযুক্ত অধ্যাপকের থেকে নিতে বলা হলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেননি। আদালত থেকেও বিশ্বভারতীকে নোটিশ জারি করা হয়। তারপরেও নীরব থাকে বিশ্বভারতী।

শেষ পর্যন্ত শুক্রবার উপাচার্যের দফতরের বাইরে অনশনে বসেন ওই গবেষক ছাত্রী। এরপর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো ডেকে পাঠান ছাত্রীকে। বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে তাঁর গবেষণায় বাধা যাতে না আসে তা নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন। সেখানেই বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের প্রশ্ন, বারবার ছাত্র-ছাত্রীরা হেনস্থা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। আদালতের নোটিশ ছাড়া কোনও বিচারই হয় না বিশ্বভারতীতে।