কীভাবে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ হাইজ্যাক বিজেপির, প্রমাণ দিলেন সাকেত

১৫ অগাস্ট থেকে বিজেপি হ্যাসট্যাগ মমতা মাস্ট রিজাইন (#mamatamustresign) নামে একটি হ্যাসট্যাগ চালু করে। এই হ্যাসট্যাগটিকে ট্রেন্ড করার জন্য ছড়িয়ে দেয় আইটি সেলই

আর জি কর নিয়ে তদন্তে সাত দিনে কোনও নতুন তথ্য সামনে এল না। বিচারের দিকে এক পা-ও এগোতে পারলেন না নির্যাতিতার পরিবার। যে পরিবার ও মৃতা ডাক্তারকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই পরিবারকে সিবিআই কোনও বিচার সাতদিনেও দিতে না পারায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক দল বিশেষত বিজেপির ‘ক্যাম্পেন’ কীভাবে সাধারণ মানুষের লড়াইয়ের দাবিকেই হাইজ্যাক করে নিল, তারও প্রমাণ তুলে ধরলেন তিনি।

কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল এই ঘটনার এখনও পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তারপর সাতদিন জিজ্ঞাসাবাদে নতুন কোনও গ্রেফতার নেই। এমনকি শেষ পাঁচদিনে কোনও নতুন জিজ্ঞাসাবাদও নেই সিবিআই-এর। এই নিয়েই সরব হন সাংসদ সাকেত। তাঁর দাবি, শেষ কয়েকদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত প্রভাবিত করার মতো রটনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেনি সিবিআই-এর মতো সংস্থা। উপরন্তু বেছে বেছে সাংবাদিকদের তথ্যসূত্র দেওয়া হয়েছে খবর করার জন্য। এর থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, তদন্তের দাবিতে আন্দোলনকে হাইজ্যাক করছে বিজেপি, তাই কেন্দ্রের সরকারের নির্দেশেই চুপ রয়েছে সিবিআই, দাবি সাকেতের।

বিজেপি কীভাবে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে হাইজ্যাক করেছে, তাও তথ্য দিয়ে তুলে ধরেন সাকেত। তিনি দাবি করেন, সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরই ১৫ অগাস্ট থেকে বিজেপি হ্যাসট্যাগ মমতা মাস্ট রিজাইন (#mamatamustresign) নামে একটি হ্যাসট্যাগ চালু করে। এই হ্যাসট্যাগটিকে ট্রেন্ড করার জন্য ছড়িয়ে দেয় আইটি সেলই। গত চারদিনে প্রায় দুলক্ষ পোস্টে এই হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু কোনও সাধারণ প্রতিবাদী এই হ্যাসট্যাগ ব্য়বহার করেননি। এই দুলক্ষ পোস্টের প্রায় পুরোটাই ব্যবহার করেছে আইটি সেল। এই পোস্টগুলি মূলত ছড়ানো হয়েছে আমেরিকার অ্যাকাউন্ট থেকে। এছাড়াও রাশিয়া, নাইজেরিয়া, কলম্বিয়া, সুরিনেমের মতো দেশ থেকে ছড়ানো হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে পয়সা দিয়ে কেনা বট অ্যাকাউন্ট।

সিবিআই তদন্তকে বিপথে চালিত করার জন্যই এভাবে বাম ও রামেরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেছে, দাবি সাকেতের। আর বিজেপির এই প্রচার চালানোর জন্যই পাঁচদিন ধরে নীরব সিবিআই, অভিযোগ সাকেতের। তৃণমূল সাংসদের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকিমূলক পোস্ট নিয়ে সরব আরেক সাংসদ সাগরিকা ঘোষও। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, বাকস্বাধীনতার নামে কাউকে খুন করার হুমকি দেওয়া হলে সেটা অন্যায়। জনসমক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুন করার যে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট হয়েছে তা অন্যায়। আর এরকম অন্যায় করলে গ্রেফতার হতেই হবে, দাবি সাংসদের।

Previous articleR G Kar-কাণ্ড: CBI-কে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিল আদালত
Next articleR G Kar: রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন স্থগিত করল CPIM