আর জি কর নিয়ে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা চাইছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান! চিহ্নিত ৩০ ফেক অ্যাকাউন্ট

আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়াকে নিয়ে শুধু রাজ্য বা দেশ নয়, বিদেশেও একের পর এক ভুয়ো পোস্ট, ফেক ছবি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল। সেইসব পোস্টে লক্ষ লক্ষ ভিউ হচ্ছে। তবে প্রকৃত সত্য চাপা পড়ে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে বিভ্রান্তি। উস্কানিমূলক পোস্টে বাড়ছে উত্তেজনা, সত্যতা যাচাই না করে অনেকেই প্ররোচনায় পা দিচ্ছেন। একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

একটি পোস্টে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলার মৃতদেহ হাসপাতালের বেডে পড়ে রয়েছে। তাঁকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন চিকিৎসক। ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমনই একটি ভিডিও পোস্ট ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্টে লেখা—”আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার (নাম উল্লেখ করে) পোস্টমর্টেমের সময় ডাক্তাররাও চোখের জল আটকে রাখতে পারলেন না।” পোস্ট হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যে সেই ভিডিও ভাইরাল!

ভিডিওটি একটু যাচাই করলেই বোঝা যাবে, সেটি কোনওভাবেই আর জি করের (RG Kar Hospital) নয়, সেটি চিনের। হাসপাতালের ফ্লোরেও চিনা হরফে লেখা রয়েছে। চিকিৎসকরাও চিনা। কলকাতা পুলিশের দাবি, এই ভিডিও ভিত্তিহীন, সম্পূর্ণ ভুয়ো। ধর্ষণ-খুনের মতো স্পর্শকাতর ঘটনায় এই সমস্ত ভুয়ো তথ্য প্রচার রুখতে আগেই মাঠে নেমেছিল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটানোর অভিযোগে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০টি প্রোফাইল চিহ্নিত করেছে লালবাজারের সাইবার শাখা। অনুসন্ধানে নেমে এই প্রোফাইলগুলির খোঁজ করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা পুলিশের তথ্য বলছে, আর জি কর নিয়ে গুজব রটানো ওই প্রোফাইলগুলির মধ্যে অন্তত ৩০টি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। এখানেই শেষ নয়। ভুয়ো নাম, ভুয়ো ছবি দিয়ে তৈরি প্রোফাইল থেকে ছড়ানো ভুয়ো পোস্টে গুজবের ডানায় উড়ে বেড়াচ্ছে আর জি কর কাণ্ড। যা দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অভ্যস্ত একদল ‘হঠাৎ বিপ্লবী’।

আরও পড়ুন:আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের