আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় হয়ে গেছে তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই (CBI)। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকে অ্যারেস্ট করা গেল না কেন? যেখানে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এটা স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে যে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় একাধিক অভিযুক্ত রয়েছেন সে ক্ষেত্রে কেন একজনেরও নাম উঠে এল না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করছে কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও তাঁকে তলব করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট সাড়ে ৫৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য, এমনটাই মনে করছেন আর জি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior doctor’s of RG Kar Medical College and Hospital)। তাই এবার তদন্তের গতিপ্রকৃতির কথা জানতে বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রতীকী প্রতিবাদে সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) জমায়েত বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের। হাতে লেখা পোস্টার আর মুখে একটাই স্লোগান, ‘ ধর্ষকের নেই ঠাঁই, তিলোত্তমার বিচার চাই’ ।

এরপর CGO থেকে পায়ে হেঁটে শান্তিপূর্ণ মিছিল পৌঁছে যাবে স্বাস্থ্য ভবনে (Swasthya Bhawan)। ইতিমধ্যেই দু’জায়গায় যথেষ্ট পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট বলছে, নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল (Suhrita Paul) হাসপাতালে না গিয়ে স্বাস্থ্য ভবন থেকে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অর্থাৎ কার্যত কলকাতার এই নামী সরকারি হাসপাতাল আপাতত ‘অভিভাবকহীন’। এর জবাবদিহি চাইতেই আজ স্বাস্থ্য ভবনে (Swasthya Bhawan) যাচ্ছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস (Joint Platform of Doctors)।

চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে এবার পথে নামছেন জুনিয়র ডাক্তার। রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে বিচারের দাবিতে একাধিক মিছিল সংঘটিত হয়েছে। কখনও রাত দখল করেছেন মহিলারা, কখনও আবার সিনে এবং সঙ্গীত জগতের তারকারা পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন। নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী মহল, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আইনজীবী মহল, ক্রীড়া জগত, নাট্যব্যক্তিত্ব, সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা শিল্পীরা সকলেই #we want justice স্লোগান তুলেছেন। ৯ আগস্ট থেকে আরজি কর হাসপাতালে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আজ তাঁদের প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হাসপাতালের প্রাক্তনীরাও।

